সোনালি পুপু
দহন
পায়ে পায়ে চলা রাস্তা
তাকেই জীবন বলে বটে
আশেপাশে বসতিস্থল
গ্রামগঞ্জ শহর
নগর
নানাবিধ ঘাসপাতা
খানাখন্দ ইতি-উতি
প্রাণ
টপকে যাওয়া পায়ের
কাহিনী
তারই মাঝে কেন
ছাইয়ের ধূসর স্তূপ
কবেকার ধুলোমাখা
ভুলে যাওয়া গল্পের
খাতা
ভুলে যেন বাড়িও না
হাত
জেগে উঠে তূষের আগুন
শিখা নিয়ে জ্বালামুখী হবে
কিছু পাতা উত্তাপের
দাহ
বুকে নিয়ে নিশিযাপ
সারে
কিছু গল্প অতি
অহংকারী
স্ফুলিঙ্গের অতন্দ্র
দহন।
কাজরি
তুমি এলে
বৃষ্টি ধারায় কাব্য
লিখি
হারিয়ে যাওয়া
গল্পগাছা
মিষ্টিমুখের
বাদলা হাওয়ায় ঊড়তে
থাকা
সুখের কথা
চশমাতে যা যায় না
দেখা
লাবণ্য পল
গদ্য ভুলে আসন পাতি
শীতল পাটি
ধরিত্রীপুর শান্ত
হয়ে
জুড়িয়ে বসে
সমস্ত রোগ ওষুধবিসুধ
সরিয়ে রাখি
মুচকি হাসির দু চার
ফোঁটা
পথ্য পাশে
ঘুমের চাদর টানার আগে
ভাবতে বসি
মরণ এলেও হিংসে নিয়ে
থমকাবে কি?
ভাববে এমন মিষ্টি
কেন
ঠোঁটের ভাঁজে
আদর নামের অমৃত
কি মাটির ঘরে ?
স্বর্গ ছেঁচা
মানিক্য
যা দেবের কাম্য
অঞ্জলিপুট
উপচিয়ে
কে ধুলায় ছড়ায়
।
শিকোয়া
মাসকাবারি হিসেবের
খাতা লিখতে লিখতে
বৃষ্টির ছিটে মনে
পড়ে গেল
ভিজে দিন ভিজে ছাদ
ঠান্ডা ঘর সিনেমার
গান
তাই খোঁজ নিতে গেলাম
মনের ভেতরে
কি কি ছোট বড় অভিযোগ
শিকে ভরে তুলে
রাখা আছে।
তাই ভাবতে বসলাম
জীবনের কাছে এক
তোমার সম্বন্ধে ছাড়া
আর কোন নালিশ ছিল কি
?
ভিজে হোক বা শুকনো
দিনের
বাকি সব ব্যথাকেই
মাপ করে দিই অনায়াসে
খালি তোমার জন্যই
তুলে রাখা থাকে
যত রাগ ঝাল ধোঁয়া
ঝাঁঝ
রাগ মানে মল্লার ইমন?
রাগ মানে দীপকের দাহ
রাগ যথা
পূর্বরাগ অনুরাগ
মুচকি হাসি
মন্দ লোকে কয়
এই সব গল্পগাছা সুর
ছোট বড় শিকের ওপরে
রঙিন সুতোর জালে
বাঁধা
ঝুলে থাকে
বসবার ঘরে।
খুঁজে দেখি
হিসেবের আঁক ভর্তি
শিকোয়ার মস্ত
খেরোখাতা।
বাকি সব মিলিয়ে
নিয়েছি
অনাবিল আনন্দ
পাতায়।