শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

 


জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়



অবিন্যাসের চৈত্র সেলের ছাতার নীচে অকবিতাগুলো

বোতাম ছত্রাকের অহংয়ে বেশ থাম্ব তুলে উল্লাস গায়

রিও ডি জেনেইরো মার্কা জীবাশ্মবেলায় ডোন্ট কেয়ারের

সুর্যস্নান অফুরন্ত রঙ মেখে ফেবুর ফেভিকল টানে

উদাসুকৈশোর বিভোর পর্দা মেলে শার্লকের চুরুট কামড়েছে।

কয়েকটা নিরীহ তুলি ল্যাপ্টানো লোনাজল সৌরকিরণসুতোয়

বেশ ঝোলে মগ্নতামুগ্ধ প্রত্নতাত্বিক পর্যায়ের উৎকর্ষতা বেশ টানে

নাতিদীর্ঘ বক্তৃতার পর ম-কার সাধন করাই যায় !

বাউলের ঘুঙুর ভাদুরে ঝুমুর বাজা সাঁঝ।না সাঁঝ কোনো

যুবতিনাম না সে এক বালিকা বেলা মায়ের মন ভোলানো

গানে এক্কাদোক্কা খ্যালে। ছেলেটি কাঠের বন্দুকে বেশ পোক্ত

কাঁপুনি ভোলা সৈনিক লক্ষস্থির সাফল্যহুঙ্কারে পুরো জমাট

বিকেলের নাটক বালি জমে  পাথর পা ডোবে না আর।

 

 


মরণ- ২  


অন্ধকার ছিঁড়ে দেওয়া আলো

জীবনের চেয়ে কিছু কম নয়

বেঁচে আছি দৈনন্দিন নর্দমায়

যদি একে বেঁচে থাকা বলে!

আসলে পুরোনো সংজ্ঞাগুলো

ভুলে গেছি বেবাক সবাই

আঁকাবাঁকা যে আলপথ উৎসুক

প্রতীক্ষার সুখে আমাদের খোঁজে

সে হয়তো জানেই না,না ফেরার কথা।

 

 

তাপন


এক একটা যাওয়ার কোনও প্রস্তুতি নেই

তোমার রূপদক্ষ লেন্সের গোধূলিমায়া স্বর্গের মতো বিমোহন

ক্লান্ত সূর্যের লালে কয়েকটি তালপ্রহরীর উন্মুক্ত ছাতায়

ক্লান্তির চাদর নামে গোটা দুই  মুগ্ধ বকের ঘরমুখো ডানায়

বিশ্রামের ঘোর লাগে নতুন সংসার আর ছানাপোনার

জমাট রাত প্যাঁচাদের আবহসংগীতে বাজে

তুমি ম্লান সূর্য কাল রাত্রির হিম মেখে আরও উজ্জ্বল হবে জানি

তুমি কবে প্রকট হবে বলো?

একটি প্রখরাদ্রি হঠাৎ বিরহী চাঁদ বা দূরের নক্ষত্র হলে ভালো লাগে কার?


খানিকটা দেখে নাও আকাশ ধ্রুবতারা ছায়াপথ

তারপর ফিরে এসো জল জঞ্জাল বেদনা সবুজ মাটিতে

আমরা প্রতীক্ষায় থাকি।