নরেন নাইয়া
অক্ষর... শব্দ... কবিতা
কিছুই আমার ছিলনা এমন ভেসে যাওয়া সব....
নৈঃশব্দ্যের একটা সুবিধা আছে ....
পক্ষপাতিত্বের কোনও অভিযোগ ওঠেনা।
ভালোবাসা চিরকালই পক্ষপাত... উঁহু, পক্ষাঘাতদুষ্ট।
তুমিতো কথা দাওনি কখনও আমার পাশে থাকবে।
প্রতিবাদে...
প্রতিরোধে...
নিদেনপক্ষে রক্তাক্ত অঙ্গে প্রলেপ লাগাতে।
মানুষ বড় অসহায় ...
মানুষের ভেসে যাওয়া দেখতে দেখতে
এমন হাসতে নেই, নীলা..
এমন শব্দহীন ভালোবাসতে নেই।
কিছুই আমার ছিলনা এমন তীব্র ভেসে যাওয়া সব..
মানুষ এত রক্তাক্ত হতে চায় কেন?
মানুষেরতো যুদ্ধ করার কথা ছিল না।
মানুষেরতো সীমানা বাঁধার কথা ছিল না।
লুকোনো রক্তস্রোতে ধুয়ে যাচ্ছে
অক্ষর... শব্দ... কবিতা...।।
উপেক্ষার লাঙলে
উপেক্ষার লাঙলে কতটা কর্ষণ হলে
ভালোবাসা তুলতুলে হয়... নীলা?
মরচে ধরা মেঘের দিকে
আনমন তাকিয়ে থাকা পাখিটাও জানে
বৃষ্টির পূর্বাভাস...
খবরতো হয়...
রেডিওর সতর্কবার্তা বোঝে
মাঝিমাল্লার কান... তবুও
নিখোঁজ নৌকার বুকে কিনারার খোঁজ!!
কতটা নরম হলে মাটি
কোমল চারারা অনায়াস
আলোয় রাখবে স্থির বিশ্বাস...
ফসলেরও আগাম খবর হাওয়া জানে
যদিও... আবহাওয়ার বদনাম হররোজ।।
উপেক্ষার লাঙলে কতটা কর্ষণ হলে
ভালোবাসা অমোঘ আকর্ষণের খেলা...???
কোনও কালেই
কোনও কালেই
প্রেমহীন বিপ্লব আমার ভালোলাগেনি...
শুধু ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও...
বদলা নয় বদলের এত অঙ্গীকার...
মানুষের ফুটপাত, তবু লড়াই দেবতার..
এত ভাঙাচোরা কোথায় রাখবে ওরা?
এত বদল কিভাবে সামলাবে মানুষ?
এত হানাহানি দেবতারা ভালোবাসে?
ব্রহ্মাণ্ডের সব আবর্জনা এই পৃথিবী নামক
ডাস্টবিনে?
তিস্তায় প্লাবন এলে তোমার বুকে আমি বানভাসি,
কাঞ্চনজঙ্ঘার গোধূলি তোমার সিঁথি রাঙালে
তুমি বিশ্বাসঘাতিনী....
তবু, ভালোবাসো নীলা....
বুকের ভিতর দোলা দিয়ে যাক প্রিয়তম হাত
তুমিও কামাতুর হও...
সফল প্রসব বেদনার মত কোনও আনন্দ নেই।
আসলে,
সৃজনহীন বিপ্লবের কোনও মানে নেই।।