বন্যা ব্যানার্জী
অবেলা
যৌথ খামার স্বপ্ন তোমার সুদ যেনো কারবারি
বারবার জাগে ইতিহাস আর বারবার মহামারী
বৃদ্ধাবাসের শয্যায় আছে সাবেকী আঁচল পাতা
বাণপ্রস্থ সূচী স্নান সারে মহাকাব্যের গাঁথায়।।
আছো?
আছো? জানিনা। সবাই তো বলে আছি।
আমি ঠিকমত বুঝতে পারিনা।
এই যে কত কিছু ঘটে চলেছে।
কাল শ্রাবণ শেষ হলো।
মৃত সৈনিক ফিরে এলো কফিন বন্দী।
আমি নিজেকে যুদ্ধেয় মুড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
তারপর গড়াতে গড়াতে ঘুমের ভেতর,
স্বপ্নের ভেতর একা একা স্নান সেরে লিখতে বসলাম।
দু চার ফার্মা লিখে যাব,
হয়তো বা তোমার উত্তর সাজানো নৈবেদ্য হয়ে থেকে
যেতেও পারি।
সুখ
তুমি কি চাওনি এমনি করেই নিকানো হোক ঘর
প্রেমিক হয়ে উঠুক দেওয়াল শুকনো ডালে ঝড়
অসুখ যখন অভ্যেস তখন স্বপ্ন বাঁচুক মনে
ভয় পেয়োনা আল্পনা দিও তোমার ই উঠোনে।।
সমতা
এই অবেলার প্রখর রোদে চার দেওয়াল ই আত্মীয়
মোবাইলে খবর নিও যে, যেখানে যার
প্রিয়।
সতর্কতার শুদ্ধি তে
মানুষ শ্রেষ্ঠ
বুদ্ধিতে।
বিভেদ ভুলে আমরা এখন সবাই সমগোত্রীয়।।
খেয়ালি
বৃষ্টি বড়ো খেয়ালিসে মান রাখেনা লোক লাজের
অসময়ে ডাক দিয়ে যায় শিকেয় তুলে সব কাজে
পথ যে পিছল বড্ড রিস্ক
আঁচল খানা সামলে নিস
ইচ্ছে গুলো বন্দিশ আর মন ভেসে যায় খাম্বাজে।।
ঝড়
সময়ের বুকে প্রবল প্রতাপে রেখে গেছে স্বাক্ষর
বেওয়ারিশ হাওয়া হৃদয় খোঁড়া তোলপাড় করা ঝড়
শত শত ভুল
গুনছে মাশূল
মুচলেকা জমা দিয়ে যায় মৃত সবুজের অক্ষর।।