গায়ত্রী ভাদুড়ী
একান্ত
হেঁটে যাওয়া পথ নির্জনতার,
দূরে যায় দিগন্তমুখীসড়ক.........
ব্যস্ত ট্রাম, বাস থামায় কলরোল।
নীলাভ শহরের ঘুমন্ত ঠোঁটে জেগে থাকে জোনাকি।
আলো জ্বলে, নিভে যায়....।
জানলায় দাঁড়িয়ে রাত আওরায় যাপনের মূলমন্ত্র।
কশেরুকা বেয়ে নামে নি:শব্দ স্রোত,
কেঁপে ওঠে সর্বাঙ্গ.।
দেওয়াল ঘরির টুপটাপ ঝরে পড়া সময়ের
অগুন্তি প্রহরে ভাসে রঙীণ মুখ...
আঙুলে জমা দীর্ঘশ্বাসে নির্ঘুম ছবিরা কাঁদে
একাকী।
মিলিয়ে যায় কার্তিকের আকাশদীপ,
সরে সরে যায় কৃষ্ণচূড়ার নৈসর্গিক রঙ!
ঝিঁঝিঁর ডাকের সাথে গাঢ় কালো রাত ফুরিয়ে আসে।
সমুদ্র থেকে উঠে দেখি মেঘের মিনারে
জ্বলজ্বলে নক্ষত্র,
শিশির শীর্ণ ভোরে মগ্ন রয়েছে ধ্যানে
সূর্য,বহুদুরে ঝাপসা...!
পা রাখি সাদা কালো মার্বেলে,
এগিয়ে যাই আরও এক ধাপ।
শ্রাবণ যোগ
পায়ের পাতায় সর্পিল রোদের,
আলতো আঁচড় দাগ,
পান্ডুলিপির শুভ্র পাতায়,
উপচানো অনুরাগ।
কমলা সকাল নি:শ্বাস ফ্যালে
নির্জনে শার্সি কাঁচে,
রঙচঙে ইঁট রাখে ধূসরতা
বুকপকেটের নীচে।
বাতাসী শব্দে অভিসারী মন
ডুব সাঁতারে একা,
দিগন্তে ঘাস লালচে হলুদ
আকাশে স্বপ্নশিখা।
ভাঙা আয়নার শত টুকরোয়
দেখা যায় না চোখ,
হাতের মুঠোর সীমারেখায়
ঝাপসা শ্রাবণ যোগ!
অপরাজেয়
সমস্ত কিছু ফুরিয়ে যায়....
ফুরিয়ে যায় মানুষের ভালোবাসা
তার সবুজ জীবন, কিছু কথা
শুকিয়ে যায় নদীর জল,
ফুরিয়ে যায় রজনীগন্ধার সুবাশ
ঝরে পড়ে ফল, উড়ে যায় পাখি।
ভেঙে পড়ে ডাল, নিভে যায় জীবনপ্রদীপ!
শুধু থাকে রঙিন স্বপ্ন, কিছু আশা....।