শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

দেবযানী বসু

 


দেবযানী বসু


ক্ষণে ক্ষণে তারকাভেদ


পরের দুঃখ বেশ চোখ পাকায়। ধূমা ও ভীমাদের শুভ সকাল। লেন্স পাল্টে পাল্টে চোখ সপ্তপদী সেরে উঠল সবে। শুভ সকালের ধামাধরা সখিরা কুঙ্কুম প্রজাতির হাই এভ্রিবডি থেকে সযত্নে বডিটুকু তুলে ফেললো। সাগরপারের সখিরা বাস্তবকবিতা হয়ে দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে হৃৎপিণ্ডের রক্তে অজস্র বুদ্বুদ। বুদ্বুদের প্রতিধ্বনিগুলি লিখে ফেলছি। তারা অনবরত জলপ্রাণীদের অভিনয় পড়ে ফেলে। আমি একলা জীব অভিমানে ইচ্ছে করে দীর্ঘ ঈ লাগাই।

 

 

 

একবাসা


বিদ্রোহী কবিতার সাহায্য নিয়ে বুদ্বুদের রঙিন পালকগুলো আজীবন জটিল। ফোমের পাথরের উপর লাফিয়ে পড়ছে।আর সেকি নাকানিচোবানি। সমুদ্রকে প্রচুর তোল্লাই দিয়েছি। কোমর হিলানো শিখে গেছি বলে গুরুজি ঘুঙুর গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। দেখ প্রচুর বাস্কেটবল সমুদ্র আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়েছে। তুমিও লাফিয়ে নামো তৃতীয় পংক্তিতে। অভাবের লেজে আগুন ধরাব ইচ্ছে আগুনও তো কিনতে লাগে।

 

 

 

মেঘমানুষী


কবি জয়দেবের রাসলীলা বানানো মেঘগুলো থমকে দাঁড়ায়। জোর করে মুখ হাঁ করে দিলেই গান বেরোবে কি? সমুদ্র মানেই দ্বীপগুলোর সঙ্গে পরকীয়ায় মাতোয়ারা। দ্বীপের  আঙুল নিয়ে যাদুখেলা মুদ্রানির্মাণ। হলুদ ব্যাঙের রাসলীলা। হাতের লুকানো তাসে ফোঁটার বদলে শুধু ছোবলের দাগ। ঘরের অতিথিদের গায়ে পায়ে সাপের মোচড়। অভিজাত বিড়ালের দানকরা কম্বলে এ শীতসময় কেটে যাক। মেঘমানুষী তা জানে।