এ কে এম আব্দুল্লাহ
মেঘ-অ্যাঠাক
ডাইনিংটেবিলে মাথাটা কাতরাচ্ছে।
প্রার্থনার দীর্ঘচিহ্ন পকেটে ঢুকিয়ে
দেহটা—
হেলেদুলে হেঁটে যাচ্ছে।
জিহ্বা থেকে উড়ে উড়ে যাচ্ছে
স্লোগানগুলো মেনুফেস্টোদানার মতো—
যেখানে,মৃত চেকগুলো আজকাল
কথা বলে বৃদ্ধঠোঁটে।
আসলে—
বাইন্ডিং খোলা বাতাসে এখন উড়ে যাচ্ছে
জীবনের অনুচ্ছেদ—
অভিলাষ
অ্যাম্বুল্যান্সের ব্লু সাইরেন ভেঙে
উড়ে যাচ্ছে জোড়া জোড়া কবুতর
ঘোর অন্ধকারে কবুতরগুলো
ভরে নিচ্ছি পকেটে
কবুতরের কচি মাংসের সুগন্ধী
নাশতা শেষে—
আমিও সোনামুখি কবুতর হবো, আর
উড়াল দেবো ব্ল্যাক-সি’র ওপারে।
হুইসেল
স্ট্যাডিয়ামের দর্শক গ্যালারি ভরে আছে মৃত
আত্মা। মাঠে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই চলছে। আমরা প্লেয়ার দেখছি না।আমাদের হাত হারিয়ে
ফেলেছি। অথচ আমরা হাততালি দিচ্ছি।
আমাদের মাথা আটকে আছে টিকেট কাউন্টারে। আর আমরা
গ্যালারিতে বসে সাবান মাখানো পপকর্ণ খাচ্ছি। আমাদের চোখ পৃথিবীর ম্যাপ থেকে
বর্ডারগুলো শুষে নিচ্ছে — শুধু মাঝেমধ্যে প্রকৃতি ভেঙে কানে ভেসে আসছে— অদৃশ্য
রেফারির হুইসেলের আওয়াজ।
এখন নিজস্ব ল্যাব থেকে নেমে আসছে মাঠে— আমাদের
মেয়াদোত্তীর্ণ দেহ।