হাসিদা মুন
কই সে' মানুষ
নাম ধরে না ডেকেও শব্দের মন্থন মন ছুঁয়ে যায়
যাক সে প্রাণান্ত ছুঁয়ে যাক,
পাতার শিরোনামে জেগে থাকে বৃক্ষ বিধুর;
জাগুক সবুজের অমরাবতী জোছনায়
নয়ন ছাড়াও চেয়ে থাকে নয়নতারা
দেখুক সৌন্দর্যের
মোহনীয় সুকৃতি চেয়ে চেয়ে
দ্যাখ মন সেই সাথে
...
শ্লোক গেঁথে ঝরে পড়ে
ক্লান্ত মায়াবী রাত
বুনো পথে রোদের ঝাড় আলুথালু পায়ে দোলে,
সাদা দাগে নদীর বেয়ে চলা আয়ুরেখা-
ওপারে হেঁটে যেতে গেলে ডুবিয়ে দ্যায় অথৈ জল
পদ্ম সায়র - আধো ডুবে
আধো ভাসিয়ে রাখে
যে কারো বন্দনায় মত্ত হতেই
মেতে থাকে
মাতোয়ারা হ' মন সেই পথে
...
আলোর মত্ততায় মন প্রজাপতি পাখা মেলে
আলো মাখে বিমুগ্ধতায়
আকাশের কুমারীত্ব
আলতো হাতে ছুঁয়ে
দ্যায় মেঘেদের শুভ্রতা
আবির মাখা পার্বণের স্বচ্ছ
সারিবাঁধা মুখ
মন প্রিয় মুখ নে' চিনে
...
আমদানিকৃত ঋতু -
জন্মদান করে মেঘ মল্লার নিত্য নতুন অবয়ব
শীতের কাঁধের ওপর বসন্ত গেরুয়া বসনের হাত রাখে আনমনে,
গলা বেয়ে সর্পিল পথে নাম নেমে যায় রুদ্রাক্ষমালা অচেনা বাঁকে,
আমি নামের নেকলেসের জপমালায় জুড়ে দিই হজরে আসোয়াদ-
ফেরি করে বেচে দিই বয়সের পেরেকে গাঁথা হাজার বছরের পুরনো
ক্রুশ,
মাটির আড়ালে মৃত্যুর বিনিময় হয়ে গেলে,ব্যয় করা দেহকে
মাটিতেই পুতে রাখে মানুষেরা
যখন সে শুধুই লাশ,
নয় কোন মেয়ে বা পুরুষ
মন চিনতে পারলি কি, কই
সে 'মানুষ' ......
সময়ের সাথে জীবনের সহমরণ
উচ্চারিত শব্দগুলোর ভেতরে
এক ধরণের মোহাচ্ছন্ন করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে,
ইচ্ছের প্রচ্ছায়ায় সেইসব শব্দরা লালিত পালিত হয় -
এবং আত্মস্থ থেকে থেকে আরেক ধরণের শক্তিও বহন করে,
অদ্ভুত সেসব শক্তিসমূহের সক্ষমতা ও অক্ষমতার প্রতীক বয়ে নিয়ে
অনিমেষনেত্রে মুহূর্তরা চলে যায় ...
উপযুগ যুগ যুগান্তরে এভাবেই কাল মহাকালের আবর্তে হারায়
পক্ষান্তরে শব্দ প্রস্তুতের জন্য যে জীবন সে অতিসাধারণ,
অহর্নিশ মৃত্যুর প্রভাবময় ক্ষমতা ঘাড়ে করে বয়ে নিয়ে বেড়ায়...
জীবনের উপস্থাপনার বিশেষত হচ্ছে -
বিশেষের সন্ধানেই কেটে যায় প্রবাহমাণ আজন্মকাল,
সেখানে দাঁড়িয়েই মায়াময় শিরনামে
দিনকাল ঘরে আসে - আবার বাইরে যায় ...
ঘরের মধ্যে সাফল্যের জন্য প্রফুল্ল করা মন
সর্বোপরি দরকষাকষি চলে কতিপয় মানুষ ও ঈশ্বরের সাথে
কিছু মন্দ রহস্যও উৎসারিত হতে থাকে এসবের আশেপাশে
আর তা চলতেই থেকে যায় আবহমানকাল ধরে ...
যে যা কিছু ঘোষণা করুক ,
মৃত্যুর সাথে অনানুষ্ঠানিক সংগ্রাম করে
টিকে যাওয়াই হচ্ছে জীবিত থাকার মঞ্চায়ন
সুস্থ জীবনধারায় নেতৃস্থানীয় আকাংখার স্তরে
সার্বক্ষণিক ফলপ্রসূ হবার কোন উপায় নেই
সুবিশাল মহাবিশ্বের সাথে বিনীত অবস্থান করতে হলে -
বিভিন্ন উপায়
বিভিন্ন অবস্থায়
বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষায়
বিভিন্ন অবয়বে এসে
বিভিন্ন রূপের প্রকাশে
আবর্তিত চতুর্দিকে খুঁজে নিয়েই চালাতে হয় এ আবর্তন,
সমস্ত কিছুই হচ্ছে - জীবিত জীবনের জন্য 'মিথোজীবিত্ব' উপকরণ!
এ শুধুই - সময়ের সাথে এক জীবনের সহমরণ ...
পুড়ে যায় তেরঙ্গা মখমল
ধুপকাঠির ধুঁয়ায় নেচে যায় - রাগ মালকোষ,
অনন্ত আধান চলে পিলপিল অনুভবে
জ্যান্তব ফুরসতের ফসলী আবাদে
লহরী লহরী জলের ঘূর্ণিতে
পীত মঞ্জুরি মুকুলিত হয় সুকোমল পেলবতায়...
হরতকি, বহেড়া , কাঠ বাদামের বনে
পায়ের নিচে ভাঙ্গে দক্ষিনা বাউরী বাতাস
তন্দ্রাঘোরে স্বপ্ন অলকায় ক্ষনিকের আহ্বানে
চিরতর মুখ ফেরাবে সূর্যস্নানে
বয়ে যায় পুড়ে যাওয়া আগুনের লেলিহানে
মধ্যচ্ছদায় দায়ভার গুনগুন করে দো্টানার সোমত্ত টানে
প্রপাতের এক মোহনার বিনাশনে আরেক প্রপাতের আগমন ...
পাতাল খুঁড়ে যে জলপান চলে
জনম জনমের পথে পথে আজম্মকাল-
সেকি সবই অমৃত
না কিছু তার বিষে ভরা অমরাবিন্যাস
নিপুণ অমরার পুনঃ পুনঃ পরিস্ফুটনে পত্রপুট হয়ে ফুটে
পাংশু সংসার ,না জানা অভিপ্রায়ে দিক্বিদিক না জেনে
পতঙ্গ ঝাপে অভ্যস্ত হয়ে উঠে,
যদিওবা নাগেশ্বর মেহগনির ছায়াতলে ছায়াও ক্লান্ত হয়,
পরিশেষে নদের চাঁদ বেশে মহুয়ার নেশায়
বুঁদ হতে হতে চলে যায় অনন্তকালের দিকে ....
উপরের আকাশে আঁচল মেলে দিয়ে মরদেবী উড়ে বেড়ায়,
বাতাসের ভাঁজে চুলের ঘ্রাণে আকুল আবেশে যে তাঁর ঘ্রাণ পায়-
সে আর বলিবার অপেক্ষায় থাকেনা
এমন ক্ষণকালের আশ্বাসে
তবু কেন এতো ত্বরা?
কেনই পাগল পারা
তাবদ দৃশ্যাবলী দেখিবারে -
তবুও কেন উচাটন মন
প্রাণ হাতে বিষের গেলাস বিবসনে...
প্রাপ্তির বাস্তভিটায় পুদিনার ঝাড় ,
সবজেটে রঙেও তার
লুকানো ঝাল্
পাতানো মায়াবী পাতায় সবুজের আকুতি
টেনে তোলে মোহনীয় সুগন্ধি,
মাতোয়ারা করে সুরা সুধায় সে ঝাল ভুলিয়ে দিয়ে
দহজিল নয়,
আগন্তক বিন্যস্ত হেরেমে
ময়ূরকণ্ঠী রঙা নীল কামনায়
পুড়ে যায়- তেরঙ্গা মখমল ...
ও সে বুঝে নেয়- যেনো ব্যাধের জালে আটকা ডাহুক,
পা'য়ে যুগ যুগান্তরের বেড়ানোর শখ লূটায়
ডানার দাপটে পাখী মাটি ঝাপটায় বুনো নেশায়,
চায় আরো খানিকটা মাটি - মাটিতেই পুরে দিতে ....