শাহানারা ঝরনা
কেউ থাকি না
সেলিব্রিটি জীবন আহা থাক না ওসব
পড়ে
কেউ থাকি না পৃথিবীতে অনন্তকাল ধরে
হৃদয় মাঝে আতর আবেশ শব্দেরা মনজীবী
বোধবাগানে সাজাই কেবল বল্মিকী উইঢিবি
আনন্দ দুখ সবই থাকে একটা জীবন ঘিরে
মুগ্ধমোহে স্বপ্ন বুনি পড়শি নদীর
তীরে
দূর পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে যায় শেষ গোধূলিবেলা
বৈরাগী মন চঞ্চলা হয়, ভাসাই স্বপনভেলা
ইচ্ছেউঠোন নকশা আঁকি পাঁচমিশালি
রঙে
মনমুলুকে সুখ না খুঁজে
ঘুরছি নানা ঢঙে
আলতাপায়ের নূপুরধ্বনি কেউ কি শোনে
চুপি?
শুনতে পারে -- মানুষ যে হায় বড্ড
বহুরূপী
প্রেমবিরহী ইচ্ছেগুলো জ্বালায় এবং
জ্বলে
তুমি কেন ঝুলন বাঁধো মন রাঙাবার
ছলে!
কোন মায়াবীর খবর নিতে দাও মেলে দূরডানা
নিয়মনীতির কারিকুলাম তোমার কি সব
জানা!
বেলা অবেলার কাব্য
ছায়ার ভেতর চলে তোমার ডুবসাঁতার,
যাঁরা তোমাকে স্পর্শ করে, একদিন
তাঁরাও
বিশ্বাসী ফুল হয়ে যায়। কুমড়োর
হলুদ পাঁপড়ি ছুঁয়ে মানবিক প্রজাপতি
নাচে,,
এ ডাল ও ডাল খুনসুটি করে দুষ্টু
মৌমাছি
স্বপ্নঘুড়িতে সুতো বেঁধে কতোদূর
যেতে চাও?
ঐ যে দৃশ্যমান দৃশ্যগুলো, তোমাকে
স্যালুট জানায়,
দেবী নাকি মানবী তুমি?
মায়াহরিণী নাকি সুদূরের দিগঙ্গনা?
ফুলবাতাস গায়ে মেখে কুঁড়িটাও
যুবতী হয় অপলক চেয়ে থাকে নির্ঘুম
আকাশ,
আমিও সূর্যের সাথে প্রতিযোগিতায়
মাতি,
জোড়াতালির দিনরাত্রি নিয়ে অভিসারের
মায়াঘড়িতে বাঁধি নিত্যকার গেরস্থালি।
বিশ্বাসের অন্তর্দাহে পুড়ি, ছোট্ট
ডায়েরিতে
লিখি বেলাঅবেলার গল্প।
অস্তিত্বের অসংগতি নিয়েই
কাব্যেরা ফুল হয়ে ফুটে ওঠে,
ফুল জীবনের তথ্য নিয়ে
কেউ হয়ে যায় পরমাত্মা বিশারদ,
ভারসাম্য রক্ষার্থে অতঃপর তুমিও
ফুল হয়ে
যাও কেননা সুতন্বীর ভাঁজভাঙা কোন
অগ্নিউপাসক অযথাই দীর্ঘস্থায়ী করবে
চলমান নিয়তির বিষাদগাথা।
পথ খোঁজে না
সকাল দুপুর রোদ আরতি
রোদকে ছুঁয়েই রাতের ঘুম
স্বর্গআশায় বুকের ভেতর
পায়েলবাজে ঝুমুর ঝুম
বরফ নদীও গলতে পারে
খুলতে পারে সুখের ঘর
অন্ত্যমিলের ছন্দে কি আর
যায় বোঝা কে আপন পর?
বিষবাঁশিতে সুরের মায়া
দেবতাধ্যানের আস্বাদন
যোগ বিয়োগ ও গুণন ভাগের
নামতাতে নেই যোগ সাধন
সব মিলিয়েই লাবণ্যরাত
অভিমানে থমকে যায়
ইচ্ছেধুলো গায়ে মেখে
বৈরি বাতাস পথ হারায়।
পথ খোঁজে না আতুড়নীতি
সুখ্যাতিময় দীর্ঘদিন
পথের পথিক হয়ে সবাই
চলছি ছুটে তালবিহীন।