চিরঞ্জীব
হালদার
এক
একজন সিপাহসালাকে
প্রশ্ন করো
তার তরোয়ালে ধার নেই কেন।
সে কী
তোতলা না ক্ষুরধার মগজী।
রক্ষনাবেক্ষন
এর ভেতরে যে প্রজাপতিসুন্দরী আপাত বসত করেন তার থেকে কি তুমি
ঘৃণা ধার
করো।
তোমাদের
হারেমখানার ঠিকানায় কোন প্রেতপুরুষ চিঠি বিলোয়।
মেহেরআলি
এ সম্পর্কে তোমার অভিমত পাঠক জানতে চাইছে।
এই ঠিকানা-শূন্য
হারেমে বাবুই পাখির গতায়াত
কোন নতূন
কথা নয়।
অর্ন্তবাসের
গুপ্ত পকেটের ভাষা কে চিনতে পারে তাকে ডাকা হোক।
হে আমার
পরকীয়া আকাশ আজ আর
পালক বর্ষন
করোনা।
যাতে সিপাহসালা
তার তরবারী ধার দিতে পারে।
দুই
রত্নাকর
তুমি কি ডেকেছিলে।
দ্বিধাগ্রস্থ
প্রেমিক তুমি কি।
রক্তাক্ত
নুব্জ পিতা তুমি কি ডেকেছিলে।
গর্ভফুল
তুমি কি ককিঁয়ে উঠেছিলে
মরমী মুকুলদিদার হাতে ধারালো বাঁশের ছিন্ন কাঠি দেখে।
বুধবার
মধ্য নিশির চন্দ্রমায় ভিজে ওঠা হোমিও মামার হাত বাক্স।
ডাকসাইটে
সুন্দরী দিদিমার নারকেল পাতার বিছানায় কারা ছড়িয়ে দিয়েছিল কান্তাসেন্টের গুল্ম সুবাস।
বার্চ
গাছেকে আজো ও চিঠি লিখে উঠতে পারিনি।
কামুর
কাদামাখা সুটকেশ কেও নয়।
ভাঙর হাস্পাতালের
অন্ধ সেবিকা তোমার গোপন কুন্ডল কেন আমার জিম্মায়।
কি উত্তর
দেবে গুপ্তি পাড়ার ধর্মতান্ত্রিক।
ঋণ বইতে
না পারা স্বচ্ছল নদী আমার বান্ধবী হবে জানা ছিলনা।
এইযে পৃথা
সুন্দরীর এলোকেশ
আটান্ন
বর্ষের আদিগন্ত মেঘ
এই নাও
গড়ঠিকানিয়া কবিতাপ্রেমিকের
মুগ্ধ
কুন্ডলী।
তিন
যদি ধরে
নেওয়া যায় বৈভবই পাগলামীর একমাত্র উৎস।
শোন হে
পেতলের পিলসুজ
তোমার
উৎসারিত আলো কতজনা উন্মাদীনীর ডাকগৃহ।
যেসব সুখী
গৃহকোন এর দামী বালিশের নিচে
জেগে থাকে
হাই পাওয়ার ঘুমের ট্যাবলেট,
ডাইরীতে
রক্ত দিয়ে লেখা হয়
কাল ম্যাসেজ
বক্সের অন্তোষ্টি ক্রিয়ার দিন।
কারও বা
প্রেমিকার রক্তে অজান্তে ডিম ফোটায়
এইচ আই
ভি র গোপন আঁতাঁত।
যে শবের
অভিনয় করতে করতে
কেউটে
প্যাঁচানো পদ্মের মৃণালে চুম্বন বিলোয়
তাকে কি
পাগল বলবেন।
আমি খুঁজে
চলেছি সেই সব পাগল যারা সারাজীবন গারদে থেকেও
পাগল নয়।
শোন হে
পরচুলা পরা বিচারক
আজ এক
পাগল কোন এক আঁশফল গাছকে
যৌনতার
মায়াবী কথনে জ্যোৎস্নায় ভিজিয়ে দিচ্ছে তাকে কি দন্ড ধার্য করবে I