সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

সুকান্ত মজুমদার


সুকান্ত মজুমদার

শিউলি

১.

তুমি সারারাত্রি ব্যাপী বৃষ্টির
মত ছন্দময় সুন্দর শিউলি,আর
শিশির সম্পৃক্ত মুক্ত হাসির মায়া।
ও রূপ রসের সরল আলাপন
এ দুচোখের পাতায় মেঘ সংবাদ
হয়েই রয়ে গেল, যোগ্যতা কি?
আপন রঙে ভাবের তুলিতে
এঁকে দিনভর দেখবে চেয়ে
একমনে নিরবধি,সে ভাগ্য লাভে
চিরতরে।

২.

কিইবা আছে? যা বিবশ
করবে অনুরাগের মায়াজালে,
পতঙ্গের ন্যায় এ মুগ্ধ বিভোরতা
দয়াহীন সঙ্কটময় নির্দয়
মায়াডোরে।
শুধু কল্পকাহিনীর পৃষ্ঠা রচনা করে
ক্লান্ত নিতান্ত সীমাবদ্ধ সামর্থ্যের
প্রেমভারে।






দ্বিতীয় কবিতা

এ পতঙ্গ প্রেম উড়বার অভিপ্রায়ে
অনুরাগ স্নিগ্ধ আলো পেল যেটুকু
আলো ভ্রোমে বহ্নিতে পুড়ালো
আপনারে।
যে আত্ম সংবাদ সে মধুময় মুখে
হাসির মোহরেণু মেখে দীর্ঘ কবিতা
হয়ে ওঠে প্রতিদিন আনমনে -
সে ভঙ্গীমার রেণু মাখা বাতাস
চিত্তে দামাল ঝড় হবার বার্তা দিলনা
অনাদরে।







তৃতীয় কবিতা

এমন মানতে পারনি
এ সত্য  দুচোখে খুজতে চাওনি
রাতের অন্ধকারের মত দ্বিধান্বিত হয়ে
জোৎস্না রূপ দেখতে চেয়েছি
নিজের তৈরি হাস্যকর অবহেলিত
অধিকারে।
যেখানে চেয়েছি, সেখানেই বার- বার -
ঝরে পড়বার অভিপ্রায়ে আত্ম
নিবেদন রেখেছ নিশ্চুপ প্রচ্ছন্ন
অহংকারে।