সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

রীনা তালুকদার


রীনা তালুকদার

ভাবনা গুলো

ভাবনাগুলো ওই বুকের নীচেই মাথা গুঁজতে চায়

কতবার সরিয়ে দেই দু'হাতে শক্তিতে

মুখ ফেরানোর ন্যায়; ফেরে না

আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে

মাঝে মাঝেই পাঁজরের সাথে

সামর্থ বেষ্টিত আভাস অনুভব করি

প্রয়োলংকরী রাত আসে

হামলে পড়া ক্ষুধার্ত চোখে

তারপর যোগ বিয়োগ

গুণন ভাগের নামতা পাঠ করতে করতে

বংশীয় শিলালিপিতে স্থান নেয়

রাতের মুর্ছিত বেদনা দেখে

মোমবাতি শ্বেত শুভ্রতায়

প্রার্থনায় বসে -

শতাব্দীর অভিজাত বেদীতে

সূর্যের মনিটরে

ভোরের জানালা মেলে ধরে

প্রতিবেশীর বাসি কাপড় !


ঘামে ভেজা মুখ





রীনা তালুকদার

কখনো কখনো ঘামে ভেজা মুখও প্রিয় হয়ে ওঠে

কর্পোরেট সময়ে অনুভূতিও নাছোড়

আদিম আচরণে নাবালক চাওয়ার আবেদন চিরন্তন

মিলনে মৈথুনে মোহন রাত ভিজে গেলে আকাশের কপালেও

ঘামের মুক্তদানা ভাসে

ভালোবাসার মানুষেরা তখন চাঁদ খুঁড়ে

আলো আঁধারির পর্দার আড়ালে খেলে

লুকোচুরি লুকোচুরি

এলাটিং বেলাটিং কানামাছি ভৌঁ ভৌঁ

সমবায় জীবন মাঝে মাঝে বহুদূরে ষ্টেশন থেকে ভেসে আসা

সুস্বাদু রান্না পোড়ার খট খটে গন্ধ

মন সে সময় ক্লান্তির রাগ শোনায়

প্রশান্তির বাতাস ঝুলে থাকে চিরল পাতার ফাঁকে

পেঁচকও ভ্রুকুটি কাটে গভীর রাতকে

দাউ দাউ দুপুর কাটে কালো কাকের তৃষ্ণায়

তখনো প্রিয় হয়ে ওঠে নুনে ভেজা

এক গ্রামীণ জনপদ।





ডুবে যাই এসো ...

সূর্য জেগে ওঠে নিষিদ্ধ চরাচরে
বুকের আড়মোড়া ভাঙে গৃহ বাতাস
চাদর জড়িয়ে থাকা ওম নিয়ে
ফোটে রক্তিম জবা
পাশে থাকা এন্ড্রয়েট ডেকে বলে
হ্যালো, জানালা খোলো ঢেউবিলাসী
দ্যাখো, আকাশের ছাদে পলাশের হোলি উৎসব
এখানে এসো এই নিলাজ সন্ধ্যায়
নিয়ে যাবে আমাদের সুদূরের কৃষ্ণ গ্রহ
সুমধুর যুদ্ধের সৈনিক আমরা
বায়বীয় অশ্রু লুট করাই লক্ষ্য
সতর্ক থেকো  - সুখের সংঘর্ষ
হেরে যাওয়া চলবে না
এসো কৃষ্ণযুদ্ধে ডুবে যাই
হেরে যাই তুমুল লড়াই শেষে
অত:পর উড়াবো আমাদের
মহামিলনের রক্তিম নিশান।