সুজাতা দে
সংশয়
শানহীন তরবারি খুলে নিজ হাতে
যে বুকে লিখেছ গো দয়িতের নাম..
ফল্গু হয়ে জমা ভালোবাসায় ভিজিয়েছি
বাঁধ ভেঙে ; দুই বালুচূড়াভুমি..
আবিলতা উন্মাদমায় মেতে সূর্যতেজে
গলবে তবে আনাদৃত উর্বর শষ্যভূমি..
জানো কি ভালোবাসা তার নাম;
কলঙ্ক জানেনা এই নিবেদিত হেম
ফিরবে না জেনেও দূরে ঠেলো তাকে
উন্মেষ প্রকাশে ভুলি যতো অভিযোগ
অভিমানি ছিল যতো ঝড়ের দাপট
জড়ো হওয়া হৃদয়ের অঞ্জলিসুর
করপুটে।
সৃষ্টিদিন
অপেক্ষারা উন্মাদ হলে তবে
সোহাগের উন্মাদনা বাড়ে..
বৃষ্টিপাত বর্ষণে
পৌঁছলেই;
অলিখিত শর্তকে ভাঙি।
আরো একবার অকাল বর্ষণ চাই
হবে আজ আমার বৃষ্টিদিন?
যে বাতাসে ফোটে হাস্নুহানার গন্ধ
যে দিন; "মরণ রে তুহু মম শ্যাম-"
যে নাভিমূল কাঁপন জাগায় চরে
পদ্মযোনি গন্ধে বিভোর মৃগ..।
কস্তুরি গন্ধের মাতাল নেশাকে চাই
পোড়াবো ফের মৃগনাভি!
আকুল প্লাবনে ঘোর লাগা এই মন
বিকিয়ে যদি আসব তোমার কাছে
আগামীতে শংখ লাগা সাপের
দংশিয়ে লেজ ফুঁসবে মাথামুড়ো।
আজ তবে কি তীব্র দাহের শেষে
উঠবে গড়ে নতুন সৃষ্টিদিন?
চিলেকোঠায় ফেরো
সাক্ষী ছিল আচার দুপুর
আলসে বাড়ির ছাদ
কাপড় মেলার ছলেই ছুঁতো
পুরুষ কিশোর হাত।
লাটাই ফেলে হঠাৎ চুমু
পাড়কে ভাঙা নদী
চু কিত কিত সবার মাঝে
আবার জড়াই যদি।
রুমাল চুরির মাঝেই গোপন
কানের গোড়ায় চিল..
ভীষণ রাগের চোখ পাকিয়ে
আবার ছোঁয়ার কিল।
চোখের ছানি চুলের পাকে
চল্লিশ বছর পর
আজো একই ভালো লাগা
প্রথম খেলার ঘর।
ডিভোর্স দিয়ে মায়ের কথায়
তোমার একার ফেরা
বিদেশ বাসের মেয়াদ শেষে
আজও তুমিই সেরা।
বন্ধন কি সবার সাজে-
সবার সাথে হয়?
চিলেকোঠার দুপুর ফিরুক
দাও গো বরাভয়।
আবার বিয়ের টোপর পরি
বয়স বাড়ে বাড়ুক
আবার জুড়ি আমার সাথে
দুই ডিভোর্সি হারুক।