সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

অরুণ কুমার সরকার


অরুণ কুমার সরকার
 
যে কথা বলিনি কখনও

যে কথা বলিনি কখনও
যে কথা বলা হয়নি তোমায়
অথচ, সে কথা ভেবে ভেবে আজ ইভ-আদম
চৌপ্রহর সীমা ছাড়িয়ে যেটুকু উদ্বৃত্ত সময়
সেখানেও ইচ্ছের জারিজুরি চুইয়ে কি সব এলোমেলো বাতাস
রেটিনা কখনও মীরজাফর হয়নি
স্বচ্ছ কাচের মতো সে তো ক্যানভাসে ফোটায় অবয়ব
নির্ঘুম দু’চোখ ছানে শুধু আলট্রাসনিক বেশে
নক্ষত্রের তাপমাত্রা মেপে তোমার উঠোন দিয়েছি ফুঁড়ে
অথচ, বলা হয়নি সে কথা
যে কথা বলিনি কখনও






পরকীয়া

৪৯৭ অবশেষে ইতিহাস
মহামান্য আদালত মান্যতা দিয়েছেন বারান্দায় দাঁড়াবার
আমরা কৃষ্ণকে মানি, অথচ
শতাব্দী ছাড়িয়ে বিশ্ববণিকেরা সেদিন
কি এক পাথর চেপে দিল
বারান্দায় ঝুলে থাকা হাজারো অতৃপ্ত উরসে
অন্তহীন যন্ত্রণা কুণ্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে অপমৃত্যু....
দীর্ঘ রক্তিম গোলাপযুদ্ধে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আজ উঠোনে উঠোনে
উদ্বৃত্ত ভালোবাসা নিশ্চিন্তে ছিটিয়ে দেব আজ
ওদিকের ঝুলবারান্দায়
গুমোট ঘর ছেড়ে বারান্দায় আমার চৌম্বকীয় টান
সেখানে টাটকা বাতাস 
রাতভর বৃষ্টি হোক আমি ভিজবো
ঘরের চাইতে বারান্দা আমার কাছে অনেক ভালো.....






রোমান্স

এই যে, এতসব রোমান্স দেখ তোমরা
পথেঘাটে, হাটেবাজারে,
মাঠেঘাটে কিংবা মেট্রো স্টেশনে
কখনও কি ঘষে দেখেছ কষ্টিপাথরে
ওসব বখামি আর ন্যাকামি
রোমান্স তো করেছে লায়লা-মজনু, কেষ্ট-রাধে
অথচ, সেই সব ছুতো দিয়ে
লজ্জার মাথা খায় পরিণত অপরিণত বয়স
দীর্ঘ সময় ধরে গাছ কিংবা
লক্ষ চোখের ছায়ায় কেমন নষ্ট করে বাতাস
ওদিকে শুকনো মাংসের ভিন্ন শরীর চিহ্নে
যারা দু’হাতে জড়িয়ে ধরে আছে ফুটো থালা
তারাও বুঝি কেষ্ট-রাধে?
তারাও বুঝি ফুটপাতে বসে রোমান্স করে?