নাসির ওয়াদেন
পবিত্র নিকেতন
এত অন্ধকার চোখে কে জ্বালায় আলো
কত শিশু সাঁতরে চলে স্রোতের বিপরীতে
অক্ষর ঝরে আগুনের আঁচে, জমকালো
মেঘ, বৃষ্টি ভরপুর
চোখ ভেজা অশ্রুতে
কত রঙ ছড়িয়ে থাকে আকাশি লেবাসে
ক্লাসরুমে বসে থাকা একাকী মেয়েটা
খোঁজে প্রিয়জনে, মন নেই ছেঁড়া সিলেবাসে,
বোবা চোখ খোঁজে না বর্ণমালা, সংখ্যাটা
সময়ে যা ছিল আজ নিত্য নতুন ছাঁচে
চেতনতার ছবি আঁকা কাঙ্খিত বুক
প্রয়োজন যত তার চে' বেশি নম্র আঁচে
পুড়ে পুড়ে সোনা হয় মনের অসুখ
কত পঙ্কিল জল ফোটাল পদ্ম স্নিগ্ধতলে
শূন্যতা থেকে পূর্ণতা
পেল সরল বিশ্বাস
আকাশ উঠোন জুড়ে সংখ্যার ছায়াতলে
নিয়মে নিগূঢ়ে বান্ধা পাঠ্য সিলেবাস
রাত শেষে আলোরা এসে শিশুদের মনে
ধরা দিল নীল অক্ষরে পবিত্র নিকেতনে
উৎসব
এখন কোন দিকে যাই
?
অন্ধকারের বেয়াড়া দেওয়াল
ঘিরে রেখেছে আমাকে
আলোহীন পথ
পাখি, ফুল, লতা, গাছ, ভ্রমর
পরবাসী হয়ে যায়
অবিশ্বাসী বাতাস শুঁকি
প্রতিটি নিঃশ্বাসে
নিঃশব্দে , কোলাহীন হয়ে ,,,,
জোনাকি আলো জ্বেলে
আহ্বান করে রতি
ইঙ্গিতে ইঙ্গিতে সহবাস
সুবাস ছড়ায় নালি
ধানের শিষেরা
স্নেহলতা মায়ার বিছানা পাতে
সবুজ ঘাসে
ঘামের গন্ধে অনুভূতির ছোঁয়া পাই
পথে পথে কত যে রক্তের উৎসব চলছে
দাগ
রঙিন পতঙ্গ নিঃশব্দে ডানা নাড়ার সময়
হালকা বিশ্বাস-স্রোতে ভাসে
পাথরের গতর ঘেঁষে
নেমে আসে
শ্যাওলা ভেজা
অশ্রু
হাসির বাতাস ছোঁয়্ শিশির শরীর
বিকেল রঙের
মেঘ
হাতছানি দিয়ে
ডাকে
বিচ্ছেদ কাজ করে ধর্ম সঞ্চালনে
রক্তের ভেতরে কোন ভুতচারা
নেই
আছে, শুধুই একরাশ ভালবাসা বীজ
প্রজন্ম
ফলানোর বীর্য
তবুও দাগ কাটে মনে
গভীরে
শুধু দাগ
মোটা দাগ এঁকে ফারাক করি
অস্তিত্ব আর সত্ত্বা
দাগ উঠে গেলে কেউ কাউকে ভাঙতে পারছি না