লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল
সাইলেন্স জোন
শাকান্নের শব্দে পাখিরা ঠুকরে খায় বাঁশির যন্ত্রণা
আর কিছু নেই সে পথে ,
বলবার মতো সংশয় -
নিঃশব্দে বেঁচে থাকার হাওয়া জড়িয়ে ধরে কোমর
বস্তুত কি আর বলার থাকে
বিপন্ন জলের ভেতর
হাওয়ারা পাগলামি করে চুপিচুপি অসুখের কোলাহলে
বাইরে দাঁড়িয়ে আজ অনেক উদাসীন পার্থিব ভোরবেলা
খুলে যায় কামনা আর শুভ্র পোশাকের অতল মানব
এখনো ভিক্ষু আমি পঙক্তি সাজাই দীর্ঘ জাগরণ -
যে তুমি চলে যাও মুঠো মুঠো পথের মায়া ফেলে
আমি তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দেই ইথার বাতাসে
সেও নিপাট নারী আলুথালু ব্যস্ততায় উড়ায় আঁচল
কুর্চি ফুলের মাঝে হেঁটে যায় অর্জুন, একনিষ্ঠ বালক
কৃষ্ণপক্ষ চলছে
বিশুদ্ধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই - শুষ্করেখায় সবুজ
প্রার্থনা বসায় দুর্বাঘাস, ঝুমঝুম আর তেষ্টা মিলনের
ঋতুগুলি ফুলের মতো আকাল, ছায়া রৌদ্র আর
পাতা ঝরার পথ সামান্য, বেশির ভাগই মেঘের মৌতাত,
তলপেটের যন্ত্রণায় ফালা করে দ্যায় বাহিনীর বিদ্যুৎ
-
হৃদয়ে ফুল ফোটার নাবালে স্নান করতে দেই হলুদ অসুধকে,
নিরাময় নেই, বিক্রিও করি না, নিরন্তর আস্থা ও বিশ্বাসের
উপর পাতার বাস্প উড়ছে অসতর্ক বসন্তে -
আগুন ও উদ্যান
ভাঙা ভাঙা মেঘের কাটাকুটিতে আমগাছের ডগায় আকাশ,
কমে যাচ্ছে বুকের দূরত্ব ; দিন রাত এক হৃত ঠিকানার
আগুন ও উদ্যান
- আমি কত প্রজন্ম কে জানে -
বাকলের দিকে চোখ যায় না কারো , অস্তিত্বের উপর ক্রমাগত
নদীর সঙ্গীত - সাঁই
সাঁই উড়ে আসে পাখিদের নির্ঘুম ঝাঁক
কেবল ছায়ারা ডাকে ,
অথচ নাব্যতা নিয়ে চারিদিকে ছলছল জল
এমনই ঘোরলাগায় প্রশ্নহীণ যন্ত্রণা কাতর ; আহত ডানার কাক
--