অনুপম দাশশর্মা
মনপালিকা
গভীর থেকে গভীরতরো এক আশ্চর্য শব্দ হয়ে ওঠো
বুঝিনা কোন উচ্চকিত উপমায় বাঁধব তোমায়
হিসেবের বাইরে যে-সব অপেক্ষা অচিনপুরের
মেঘ হয়ে ওঠে, সেখানে পাতায় পাতায় লিখে রাখি
অন্তরের গ্রন্থনা
চমকপ্রদ বলে তুমি ভেঙে পড়ো জোছনায়।
বিষাদের ভেতরে আটকে থাকা কাঁটা আলগা হলে
বেহালা বাজে মনে নিবিড় স্পষ্টতায়
যেন পেয়ে গেছি প্রহরীহীন রাজফটক নিমেষেই
এবার রচনা করি তোমার বর্ণনা গান্ধর্ব আলাপে।
তুমি আমার মাত্রাহীন ছন্দ, লুপ্ত জলাভূমির দরদ
চার প্রহরের শেষে বিমূর্ত এক মনপালিকা বৃহৎ।
আকাশের নীচে যারা ঘুরে বসে
দৈনন্দিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই
আর লড়াইয়ের মধ্যপথে সাফল্যের হাতছানি
এসব নশ্বরতা অতিক্রম করতে পারে না।
বিশতলা বাড়ির ছাদ আর টালির শান্ত ঘরের
তারতম্য আলোচিত হয় সাহিত্যে
নচেৎ এক নৌকায় বসিয়ে রাখে হঠাৎ বিপন্নতা।
মিথ্যে হয়ে যায় ঘর, মিথ্যে কাব্যিক ঝিনুকমালা
অন্তরালে প্রতিটি মানুষ তখন পুরনো পৃথিবীতে
ফেরার প্রত্যাশী।
জানলা দিয়ে আকাশে তাকালে মনে হয়
এই জীবন আলোছায়াময়
দেহভারকে নিমিত্ত ধরে নিলে আকাশের কাছে
সমস্ত চাহিদাকে নেহাত পথনাটিকা ধরে নিতে হয়
সাফল্য আসবে নোনাজলে প্রিয়মুখকে
উজ্জ্বল হতে দেখলে।
নিরাশ্রয়
পালিয়ে যাব? কোথায় যাব এখন!
কোথায় কীভাবে গেলে আতংকের
হলুদ চাবুক পড়বে না পোড়া পিঠে
জানা নেই কীভাবেই বা খুঁজে পাব
অস্তিত্বের জন্মদাগ।
এই সময় অন্ধকারকে মহা প্রভু মনে হয়
মানসিক যন্ত্রণা কুচিকুচি হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে
শহর ও জেলাময়।
এখন সরে থাকা নিস্পৃহ স্তাবকদের থেকে
এখন বুঝে নেওয়া হীনতম ক্ষমতাধরদের
মনে রাখতে হবে পাখিরাও নিরাশ্রয় হয়
নির্বোধ মানুষেরই যুগ্মহাতে।