সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

সোনাদ্রি

প্রথমে কবিতা ছিল গুহা মানবমানবীর গুপ্তকেশে। শহীদ মিনারের চুনকলি ফিরিয়ে তাকে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিই। আবারও রঙ চটে যায়। ইঁট চাপা পড়ে কিছুটা রোদ। স্যালাইন বোতলে ছলকায় কিছুকিছু। হাসনুহানা খুব হাঁপায় গাড়ি পার্কিং করার সময়। বাইফোকাল চশমা থেকে প্লাস শক্তি ছিটকে পড়ে। কথার কথা তস্য কথা হয়ে পড়ে থাকছে কুকুরের লেজ। তোমার জোগাড় করা হাসনুহানা আমাদের দিকে ঝুঁকে ঝুঁকে পড়ে। তার থেকে মাসোহারা আমাকে জোগাড় করে নিতে হয়। প্লাস শক্তির সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে পাখিদের জননছবি। পিনহোল দিয়ে বইছে লবণনায়াগ্রা। কয়েদির শিকে সূর্যাস্তের কাবাব ঝলসাই। কাকপালকের হাহুতাশ শিকে লেগে থাকে কিছু দিন।






শিশুগোলাপি উদাসীনতা

সমস্যাটা কুকুরের লেজ নিয়ে নয় এটা দরবারি কানাড়ায় বসিয়ে নিলেই হল। লেজের উপর রংধনু বর্ষাধনু ঈর্ষাধনু এসে বসেছে। তোমার যাবতীয় ল্যান্ডিং ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটাই চিন্তার। হেয়ার রিমুভার মাখানো জঙ্গল পোড়ানো যাচ্ছে না। অ্যাকাসিয়া গাছ হিসেবে বাঁচতে চেয়ে ক্রমশ আড়কাঠি হয়ে গেছি। পা হড়কালো বলে কুইন অব শেবা উপাধি পেলাম। গল্প ঘড়ঘড় করে উঠল শ্লেষ্মানাকে। দ্যাখ কেমন লাগে বলতে বলতে যুগলবন্দির পাখিরা উড়ছে তোমাকে নিয়ে। নীলচাঁদের অ্যাক্রিলিক গন্ধের টানে গোলাপ চাইলে গোলাপ বয়ে আনছে ডেয়োপিঁপড়ে। সোনা খাওয়ার দাওয়াই রাজরাজড়াবাহিত। দাওয়াই অসুখ বিছিয়েছে।







ছুঁলেই এক্সেক্সেল

শ্লেষ্মানাকের সুড়সুড়ি বুঝতে দিতে নেই। সুখ আঁকা মুখের দেখা পাওয়াই যায় না। সেখানে  ভুলে যাওয়া ব্যানারের দিনে কবেকার শ্লোক আঁকা পালক আর শ্লোক না আঁকা পালকেরা এসে ভিড় করে। পায়ের তালুতে মাখা সিন্নির মতো সুখ। পা হড়কে চুষে ফেলা শহীদ মিনার সাগরের তীরে সটান উবুড়। পিঁপড়ের ডিমভরা গীতিকবিতার স্বাদ ঠোঁটে ঠোঁটে চারিয়ে গেছে। রোদের দরে আদরে মৌমাছিকে করি তার গুঞ্জনকে করি ততোধিক। নাক থেকে লাফিয়ে নামে ঘোড়া। পিছনে না তাকাবার সংকল্পে। শিশুগোলাপি রঙের কতোটা ভিতরে আছি তা সকলকে নাই জানাবার।