মিলি দাস
পা
ঠিকানার খোঁজে
পদচারণার যাত্রা হয়েছে শুরু,
গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গিয়েও
বিচিত্রময়ী স্বপ্নালু চোখ
অধিক সুদূরপ্রসারী,
আচম্বিতে সুপ্ত বাসনার চিত্রিনী রূপ!
তান্ডবে তার বহিঃপ্রকাশ হল
অবিরত সে ছুটে চলে যায়
প্রস্ফুটিত হতে চলেছে রঞ্জিনী বৃত্তি
অবিচলিত হৃদয় ধাবিত
কথা রেখেছে বিক্ষেপ বিনা
বিনোদনের অন্বেষণে এগিয়ে চলেছে
ক্রমধাবমান পা।
তুমি কি জানো
কিশোরী মেয়ে তোমার শরীরে
সুন্দর এক এঁটেল মাটির গন্ধ রয়েছে
তুমি কি জানো?
দরজাটা একটু ভেজিয়ে দিয়ে
গলিপথ থেকে চৌরাস্তার ভাঁজটি দেখো
এঁটেল মাটির গন্ধ আছে তুমি কি জানো?
বীজের বপন বুঝতে পেরেছি,
সবে সেখানে সেচ হয়েছে,
চাষের জমিতে ধুলোমাটি আর রং লেগেছে,
অচেনা এক আন্দোলনে বুঝতে পারি
তোমার শরীরে অদ্ভুত
এক এঁটেল মাটির গন্ধ আছে,
তুমি কি জানো কিশোরী মেয়ে ?
অক্ষর
বেদনায় উপচে পড়ছে সমুদ্রের ঢেউ
জীবন দর্শনে উকি মারছে কেউ
শিকড়ের রেখা বেয়ে গেছে মাটির নীচে
উদ্দীপকের যন্ত্রণাটা নামছে পিচে
রক্ত তখনো চঞ্চল হয়েছে বিদায়ে
অবচেতনের মনটাকে মেখেছি গায়ে
শব্দের কারুকার্য বুনে যাচ্ছে হৃদয়ে
অস্ফুট বাক্যগুলো ধোঁয়াশা অকূতভয়ে
তবুও মরুভূমির বুকে ফসল ফলাতে চাও?
চরের উপর দাঁড়িয়ে তুমি অর্ঘ্য বেদীতে দাও।
এমনি করে অনুভূতির ঐ আশাতে বেঁচে যাও।