তানিয়া ব্যানার্জী
অবশেষে
মেঘ করলে আজকাল বড় শূন্য লাগে...
আকাশ বেয়ে নেমে আসে স্তব্ধতা,
গুমোট অন্ধকারে জলদাগেরা স্পষ্ট হয়।
নিত্য আসা মনপাখিটা!
পরিযায়ী দলে
মিশে যায়;
আমি সকাল, দুপুর, রাত -- বসে থাকি,
ওই সবুজ মাঠের দিঘীটার দিকে চেয়ে।
ঘরের ভেতর ঘর... এস্কিমোদের ঘর,
শরদ হাতে অবাধ প্রবেশ... " আলি আকবর "।
আমার মন 'খারাপি আয়না আদল খুচরো গোনে,
তিতকুটে দিন, জেব্রাক্রসিং...
একটা দুটো শুকনো পাতা হাওয়ায় ওড়ে..।
একরাত যায়... দু' রাত যায়,
তেরাত্তির সজ্ঞা মেনে!
হঠাৎ করেই মেঘ কেটে যায়...,
শনশনিয়ে দমকা হাওয়া ফাল্গুনী ঝড় -
দরজা, জানলা, ভেন্টিলেটার
তছনছ হাওয়ায় হাওয়ায়...,
পেপার ওয়েট, কলম মুখী ছিটকে গিয়ে..
ঘরময় কবিতা ওড়ে।
সবজে.. নীল.. লাল
কবিতার দল।
ওই বাগান থেকে কৃষ্ণচূড়া পাঁপড়ি খোসে,
জানলা বেয়ে আমায় ছুঁয়ে যায় ..
কপাল, চোখ, নাক, গাল, ঠোঁট....
আমার লাল আভা মুখ.. লজ্জাবস্ত্র টানে।
মেঘ গুড়গুড়... টুপ টাপ.. ঝম ঝম--
বৃষ্টি আসে.....,
মুষলধারে.....
বৃষ্টি আসে.... বৃষ্টি আসে .. এভাবেই আসে।
@... এবং প্রাক্তনী
তুমি নামাতেই পারো!
আমি উড়তেও পারি,
একদল ঘুঘুর সাথে
চন্দনার বাড়ি।
তুমি ডিঙোতেই পারো,
আমিও পার হোতে পারি
মুখমোছা পরিযায়ীর সাথে
নীল রং বৃষ্টি
ভেজা শাড়ি।
তুমি বারবেলা বোঝো-
আমি চারবেলা বুঝি,
দু' মুঠো ডাল-ভাতে
পারিজাত খুঁজি।
তুমি ইতিহাস খুলে
ভুমিকা আওড়ে নিয়েই
বারোপৃষ্ঠায় গিয়ে বিন-তুঘলক পড়,
আমি সকালের পুজো
সেরে
একমনে চিলেকোঠা চড়ে
রামি চন্ডিদাস
হাতে জরসর।
তুমি সেল ফোন চেনো,
আমি সেই ল্যান্ড ফোন রাখি
শালিকের ডানায় আঁকা,
নিহত ফিনিক্স পাখি।
সবটেস্টের শেষে রোগ নির্নয় হলো
এবার এ নগর আমি ছেড়ে দিতে পারি
আমি থেমে যেতে
পারি...
আমি চলে যেতে পারি...
আমি বলে যেতে পারি...
অভিমন্যু হওয়াটা
কী!
খুব দরকারি!
@@ নামহীন কবিতা
প্রতি ধাপে শুনতে পাচ্ছি শব্দ
গিরগিটি চলন বৃদ্ধ অঙ্গুরিষ্ঠায়,
নতুন নতুন মোড়, অথবা সবটায় চেনা।
আমার একপনর্ণি নবজাতিকা বার বার
প্রশ্নপত্রে অচেনা শব্দে নাজেহাল।
কিছু সাসপেক্টেড
নোটে ওরা লাল কালি দাগে বার বার।
আমি জুড়িয়ে নিচ্ছি ক্ষত যতবার,
ঠিক ততবার ভিন্ন রকম আঁচড়, বারবার...
পঞ্চমুখি ফ্যাকাসে অপরাজিতার নিশান মিলছে,
মিলছে সুপরিচিত এক কাপালিকের চোখ রাঙানি।
আমি গুটিয়ে নিচ্ছি ভোর, জড়সরো অসহায় অপেক্ষায়,
অথবা প্রস্তুতি আজ প্রস্থানগামী দীর্ঘ মেকি প্রতিক্ষার।