সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

শর্মিষ্ঠা মুখার্জি


শর্মিষ্ঠা মুখার্জি

চাঁদ জেগে নেই

হারিয়েছে অরণ্যের ঘুমে চাঁদ জেগে নেই আর
অনন্যতা তবু চমকায় ভোর রোজকার
মনে পড়ে রাত্রির অণু পরমাণু, অংশ ভগ্নাংশ;
বিরহী আবির ছড়ায় রক্তিমতা! শুরু সেই
কাটাকুটি  খেলা  জীবনের  রসিকতা !
সব পরিজন চিনেছিল কি নীলাকাশ
নাকি অবচেতন সবথেকে করুণ!
নদীও তো প্রবহের জোয়ারে ভাসে--
শান্ত সে যদিবা, সুযোগ পেলেই খরস্রোতা ।
অচেনার বুকে ভালোবাসা লিখে রেখে
একদিন দেখো, পৌঁছে যাব ঠিক ভালোবেসে--
জানালার শার্সিতে ঝড়ের ঝাপটা বুকে ধরে
ছুঁয়ে যাব অবিস্মরণীয় মাইলস্টোন ;
বিন্দু বিন্দু কণার এই  সিন্ধু সংসার
অশ্রুকালীন লোনা স্বাদ বেদনার গালে--
যদিও পিঠ ততক্ষণ ঠেকবে  দেওয়ালে !
সেদিনও যদি ভাগ্যের কোন দোহাই না তুলে ধরো
তবে জেনো রোজ সন্ধ্যায়  ফিরতে চাই
দূরাগত জ্যোৎস্না বা অমাবস্যা মেখে সেই নিকষে –
প্রতিদিনের মতোই জেনো সেইদিন
আবারও চাঁদ অস্ত যাবে আসামের জঙ্গলে।







ত্রাস

মুঠো ভরা বালি ঝুরঝুর করে পড়ে যায়
সাজানো তাকে দেখো থরেথরে দুঃসময়,
আঙুল দেখেই তাকে চিনতে পারি
মা ডাকি ভারতমাতা নামধারী,
হাত পুড়ে যায় রক্তাক্ত যন্ত্রণায়
সত্তর ধর্ষিতা হয় স্টেশন আঙিনায়!
মন্ডপে মন্ডপে আগমনী সুর বাজে
লজ্জা ভয় বোতল কাচ একই এস্রাজে;
কামদুনী থেকে বাঁকুড়া বর্ধমান কাশ্মীর
করোটির নীচে আগুন লুকোই সশব্দ শরীর,
তোমার দুর্গা বঙ্গে আসছে শারদীয়া ভরপুর
আমার দুর্গা সত্তরেও করে নিরাপত্তাহীনতায় ভর।







মুমূর্ষু
    
প্রতিটা স্পর্শ অনুভবে বয়
প্রতিটা সুখ আবাদি হয়,
তবু, একটা চাঁদেই গ্রহণে ক্ষয়!

ডুবন্ত বিকেল কেনে ছেঁড়া  ছেঁড়া সুখ
আকাশকুসুম কবিতার ভোর
যদিবা দুঃখ ফল্গুধারায়
কেন সে বহ্নি উদ্বায়ী নয়!

রক্ত জানে নিঃশ্বাসে ক্ষয়
দুঃখটুকুই কবিতা হয়।