সুধাংশুরঞ্জন সাহা
অন্ধকারের আর্তনাদ
আমার অক্ষরের গায়ে লেগে থাকা আঘাত,
বিকেলের সব হারানোর রঙ,
অথবা মনখারাপের গায়ে লেপ্টে থাকা বিষাদ
নির্মাণ করে আমাকে বারবার।
#
যখনই নিজেকে বিযুক্ত করতে চেয়েছি
নিমেষেই ধেয়ে এসেছে অন্ধকারের আর্তনাদ।
গ্রাস করেছে আলোর যাবতীয় আকার ইঙ্গিত,
ঠিক যেভাবে নদীর পাড় থেকে
মিলিয়ে যায় ভাটার জল।
নির্বাচিত সূর্যোদয়
যদি, আমাজনের জঙ্গলে ভরে যায়
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ, মহাদেশ।
মেঘে মেঘে রটে যায় গাছেদের প্রেমকথা,
হারানো পাখিরা দল বেঁধে ফিরে এসে
ফের বাসা বাঁধে পাতার
আড়ালে,
সকাল সন্ধ্যা গান ধরে একতারা বাজিয়ে,
মানুষের মনখারাপেও বুনে দেয় যদি
পাখিদের যৌথকান্না কিংবা হৃদিকথা।
অধুনিক প্রযুক্তির সহযোগে
পলি, জঞ্জাল সাফাইয়ের
পর
প্রাচীন নদী গভীর হয়
যদি,
মুগ্ধ মাছেরা দল বেঁধে সাঁতার কাটে
দীর্ঘ দীর্ঘ জলপথ।
নদী তীরে বালক বালিকারা ঘুড়ি ওড়ায় যদি,
নানা রঙের ঘুড়িতে নির্ঘাৎ ফুটে উঠবে
নির্বাচিত সূর্যোদয়।
একলা শালিখ
নির্জন নিরালা ঘরে ছিল অবকাশ।
সম্পর্কের বৃত্ত ছেড়ে নক্ষত্রমহল ...
মনখারাপের গায়ে কারা ছড়িয়েছে
অবিকল্প যুদ্ধ যুদ্ধ কিছু অন্ধকার।
মুক্ত বানিজ্য অথবা ডলার বিস্তার !
মিথ্যে জাতীয়তাবাদ মহামারী আজ।
জলে ডুবে থাকা গ্রাম, ভাঙাচোরা পথ
অবিবেচক রেলপথ ভুলে যায় যদি
যাবতীয় যাতায়াত কিংবা কলরব !
মনের পরিকাঠামো ভেঙেচুরে তবে
ঘুমভাঙা ম্লানমুখ ফুটে ওঠে যদি
বৃষ্টির বিষাদে মাখা
কান্নাথামা রাত,
অপেক্ষার লেবুফুল
অপর ভুবনে,
একলা শালিখ ডাকে শিরদাঁড়া জুড়ে।