তাপসকিরণ রায়
সোচ্চার
কন্ঠ চেপে ধরলেও
তার সোচ্চারকে কিন্তু
আটকে রাখা যায় না।
প্রকৃতিকে তুমি
যেমন ভাবেই সাজাও না কেন
সে আবার একটা সময়
নিজের রূপে ফিরে আসবে।
শ্বেত পোশাকের নিচে
একটা শ্বেত পতাকা উড়িয়ে ছিলাম।
দুটি শ্বেত কবুতর সে পতাকা থেকে
নিজেদের রঙ মিলিয়ে নিচ্ছিলো।
তোমার শ্বেত পোশাকের নিচে থেকে
উঠে আসছে দুর্দান্ত সব রঙ !
তুমি ধরে রাখতে পারছিলে না --
দেহের রঙ তোমার মনে মিশে যাচ্ছিল।
এক অস্থির অন্তর্দাহ নিয়ে
তোমার শান্তির কামনা তুমি
কিছুতেই রাখতে পারছিলে না।
রাত
রাতের আলো নিভে গেলে
অন্ধকার তোমায় ঘিরে ধরে--
স্বপ্ন ও স্মৃতির মোড়ক খুলে
কখনও তুমিও জেগে রও।
তখন অনন্ত সুখ-দুঃখগুলি
বাতাসে ভাসে, কিছুই তুমি
মুঠোয় ধরে রাখতে পার না।
তারপর একটা সময় আসে
অন্ধকারে তুমিও ডুবে যাও।
পাখি
যে পাখি উড়ে গেল সে আর ফিরবে না জানি--
হাওয়ার পালকে সে সময় হারিয়ে গেছে।
সময় কাটিয়ে তুমি শুধু কবিতা লিখে যাচ্ছ
এ সব কিছুই থাকবে না ধরা--
কেউ এসে ডাকবে না তোমায়--
কেউ আর পিছু ফিরে তাকাবে না জেনো।
চেহারাগুলি
চেহারাগুলি যেন মেলানো যাবে না--
চায়ের দোকানের ছেলেটা কি সুন্দর কবিতা লেখে দেখো ?
রঙ দস্তুরের জেল্লায় মানুষগুলি হারিয়ে যাচ্ছে
অন্যদিকে নিভৃত জপমালা, চোখের আলোক বিশ্বায়ন !
আমার দূরে থাকা একটা পরিচ্ছন্ন মন,
ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে অব্যক্ত উচ্চারণ--
প্রকাশহীনতাই তো আসলে অন্ধকার।
কুকুর
কুকুর থেকে বিশ্বাসের শিক্ষা নিতে গিয়ে দেখলে
তোমার একটা লেজ গজিয়ে গেছে !
সে লেজ নিয়ে কাউকে তুমি আর ভালবাসতে পারলে না।