সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

রবিন বনিক


রবিন বনিক

ছেলেটা খেলছিল

ছেলেটা খেলছিল মৃত্যুর মতো
হাতে পায়ে উড়ন্ত কাক
দাঁড়ালাম, ছেলেটা হাসছিল
চোখে মুখে মায়ের ছাপ–

ছেলেটা ভাঙছিল যুদ্ধের মতো
কপালে কবিতার দাগ
কাছে এলাম, ছেলেটা দেখছিল
দৃষ্টিতে যোদ্ধা পুরুর পাপ–

ছেলেটা সামুদ্রিক, পাহাড়ের মতো
জিভে ঠোঁটে রোদের ক্ষেত্রফল
ছুটে গেল, ছেলেটা বোদলেয়ার
পথে পথে ঘোড়সওয়ারের জল–






অযথা দু'বেলা দিন

কেমন আছো? কী করছো আজকাল?
ভালো নেই, শূন্যে চোখ খুলে ঘরে ফিরে আসি।
বুঝলাম না, তা ঠিক, সহজে বোঝার জিনিস নয়।
সহজ ভাবে বললে আজকাল মহাকাশ জোড়া দিয়ে যাচ্ছি নিখুঁত ।
সে আবার কী, যাই হোক, তা, বাবা মা কেমন আছেন?
বোনটার কি বিয়ে থা হয়েছে?
আমরা কেউ ভালো নই, আপাতত আগুনের মন্ত্রপাঠে মন দিয়েছে কেউ।
এ আবার কেমন কথা? কেন এমন কথার জটিল রহস্য?
রহস্য এক আশ্চর্য খোঁজ, যার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে
সমস্ত নক্ষত্র চেয়ে থাকে এই অসামরিক মুখমন্ডলে।
এসব আমার মাথায় ঢোকে না, আমি খুব সহজের লোক।
আপনি হয়তো দেখেননি বাতাসের থেকে বাতাসের দূরত্ব।
আপনি হয়তো শোনেননি বাদামী পাখির বিস্ফোরণ।
না, এসব দেখা বা শোনার ইচ্ছে আমার নেই। আমি খুব সহজের লোক।

আসলে একটু একটু করে ঘনিয়ে আসছে আপনার চোখ
আমরা বরং তুষার তুষার খেলি কিছুকাল।






যে যায়

যে যায়, সেও যায় কোথাও—
দেহের দূরত্বে
রেখার পেছনে
দৌড় খুঁজে খুঁজে তুলে আনা আলোর নিকটে
সে যায়, আরো সবুজ পারাবত

অপেক্ষা দক্ষিণ ভালো
তুষারের নিচে ছুটে যাবে আলো
নিখুঁত হেমন্ত শরীর

কিছু ফিরে আসে দেহের মতো
যে যায়, সেও যায় কোথাও–
দ্বিগুণের কাছে।