ঈশানী রায়চৌধুরী
কবিতারা গল্প বলে
(১)
মোমের শিখা আঙুল রাখি
টুকরো কথা টুকরো ছবি
গা- ছমছম ব্যথার নেশা
'গল্প' ছিলি , 'সত্যি' হবি ?
(২)
গুনে গুনে ক্লান্ত হয়ে গেছি
আঁচলেতে জড়ো করা ভুল
পায়ে পায়ে রোদ মুছে গেছে
দিনান্ত ছুঁয়েছে আঙুল
(৩)
হৃদয়, তোমায় পাখির মতো উড়িয়ে
দিলাম
হৃদয়, তুমি নেই -ডানা তো বয়েই গেল
হৃদয়, তোমায় শীত–সোহাগী রাতবিরেতে
ঘোর আঁধারে একার মনে ছেড়েই দিলাম
হৃদয়, তোমার দু-চোখ যদি
নিরুদ্দেশের
গন্ধ মেখে যায়ও চলে , অন্যভাবে
আমার মনের সুরটি তবু ভরদুপুরে
ইচ্ছে - রোদে খামখেয়ালে বেজেই যাবে
(৪)
ভালোই ছিলে ? ভালোই আছ ? আমায় ছাড়া ?
জলের শাড়ি বিছিয়ে থাকে হাঁসের গায়ে
যেমন করে ..তবু পালক ভিজছে না তো
তেমনি করে তুমিও বুঝি একার জলে
সাঁতার কাটো এবং ভাসো নিজের মনে
এই যে আমি পাশে দাঁড়াই আলতো পায়ে
চোখের আলো ছড়ায় মুখে এবং ছায়া
নকশা এঁকে শাড়ির বুকে অনর্গলে
বলছে কথা চৈত্র শেষে শিরীষ গাছে
তুমি আমায় ভুলেই গেছো ? একেবারে ?
বলতে পারো আমায়....কেন তোমার কথা
খুব গোপনে শাড়ির ভাঁজে চোরকাঁটাটি
যেমন থাকে তেমন সুখে লুকিয়ে আছে ?
(৫)
শয্যা জুড়ে বিছিয়ে আছে অনেক কাঁটা
মনের ঘরে বসত করে হাজার ক্ষত
রক্ত যদি শরীরে রোজ আঁকাও থাকে
সফেদ চোখে যাপনকথা অব্যাহত
(৬)
আমার যত উপুড় হয়ে লেখাপড়ার দুপুরগুলো
আমার যত খাতার পাতা নষ্ট করা বর্ণমালা
আমার যত হারিয়ে ফেলা মুহূর্তরা চোখ রাঙিয়ে
এখন বলে, "বন্ধ রাখো অন্ধকারে গল্প
বলা"