মোঃ সরোয়ার জাহান
হেলেনের গ্রীস হবে আবার
----------------
১
বৎসরের আবর্তনে
ভাষা পেয়েছে যে ছন্দের বন্ধন
তার অন্তত আভাসে যেন থাকে
আমারই প্রাণের জ্বলন্ত
অসীমচুম্বনীর মতো
তোমারই একান্ত ছন্দোবন্ধনে..!
২
পাগল ঘূর্ণিতে তুষার নামছে তার দেশে
ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাসনাও
হচ্ছে কি বেগবান হে বালিকা?
৩
স্বীকৃতি চাও হে ম্লান মেয়ে আমার
হেলেনের গ্রীস হবে আবার এই পৃথিবীর জমিন,
যদি আর কথা না বলো, যদি আর কথা না রাখো!!!
=================================
“বর্ষার বন্দনায়”
------------------
দীপহীন ল্যাম্প্ পোষ্টের নীচে
ব্লাক আউটের আঁধার
নিজস্ব হৃৎপিণ্ডে
বর্ষার উষর বন্দনায়
বৃষ্টিতে রাজত্ব আজ
লংকা কান্ড বাধাবে বলে
কবি সারটা দিন গভীর ঘুমে
ঘুম থেকে উঠে
সোজা বস্তি ভ্রমণ কবিতার
রসদ জোগানে
আমার নিঃসঙ্গ তথা বিপর্যস্ত
রক্তমাংসে
আপন রক্তের ভেতর
প্রেমিকার আত্ম চিৎকারে
ছিপছিপে নৌকোর মতো
কবিতার পদযাত্রায়
ফুসফুস নিকোটিন ছেকে দেয় রক্তে
হৃদয় নিংড়ে সময়ের ক্ষুদ্রতম ক্ষণে
আমার চোখে খেলে যাও
যুগলবন্দী আলিঙ্গন ক্ষণে ক্ষণে…!!!
========================
“কঠিন আঁচড়”
------------------
নিঃশব্দে দেখেছি পরিবর্তি মুখে প্রেমিকার দীপ্ত
মুখ
তোমার নিপুণ নিরিখে বুকে বিনষ্ট অনিদ্র ভায়োলিন
দীর্ঘ দুপুর ভরে অপেক্ষমাণ হারানো মেঘের খোঁজে
সন্ধ্যার চকিত উদ্ভাসে লালাভ স্পন্দনে বাসন্তী
আকাশ!
নক্ষত্র ফোঁটায়-ফোঁটায় প্রাণীজ কঠিন ম্লান
হাস্যে
দুঃখ শ্লোক গাইবো না আমি কেবল জানিয়েছি
হৃদয় হয়নি তবু কি সর্বনাশ
রক্তের খেদ রয় কি ধূলায় ঢাকা হৃদয়পুরে জটিলতায়
সুদীর্ঘ বাতাস মাথা নাড়ে জ্বলজ্বল করে
অশ্রু-ঝলোমলো!
বহুদূর নীল সমুদ্রের আকাশে প্রাণ হবে উজ্জ্বল
তিমিরে
ঝড়েও কাতর নয়,বৃষ্টিতে বসন্তের আলো লেগে
স্বপ্নের ভিতরে নেশার শস্য প্রাণবান সুদীর্ঘ
বাতাসে
আকাঙ্ক্ষার কঠিন আঁচড়ে ঐন্দ্রজালিক
...
বিদর্ভ নগর
--------
চকচকে নক্ষত্রোজ্জ্বল চোখে
উত্তাল মাতাল ঢেউ উঠে
রক্তে
আমার এক বিন্দু হাহাকার
যন্ত্রণায় বিদীর্ণ হতে হতে
তুমি,
অশরীরী স্বপ্নে
বিকৃতমস্তিষ্ক চাঁদের বুকে
জ্বেলে দাও বিদ্রোহী
পূর্ণিমা হৃদয়ের দিগন্তে !
রক্তপাতে,আর্তনাদে,শ্বেতপাথরের
স্মৃতির ফলক
নিত্য অসমাপ্ত চির আরদ্ধ
দীপ্তিমান পথে
আবহমান পথ বেয়ে
গেঁথে যায় শরীর গ্রন্থিতে
যন্ত্রণা-বিষ
আমিও চাই হোক প্রেম আমার
বিষে জর্জর
পাই তো পাব রুক্ষ দিনের
যতো দুঃখ কষ্ট
তোমাতে কান্নাময় বিঁধুক এ
বুকে আমাদের প্রেম
ম্লান ভুলে তুমি চমকে উঠবে,
মুগ্ধ অশ্রুগলে যাওয়া গানে
দেখ কি অদ্ভুত ভুতুড়ে শব্দ,
মাস্তুলে চাঁদ নেমেছে
আমাদের বিদর্ভ নগরে!
===============================
অজ্ঞাতবাস
-------------
স্বর্গ থেকে দূরে সরে যাই
অভিমানী করে অস্তিত্বকে!
তোমার ব্রা কিম্বা
পেন্টিতে
খুঁজে ফিরি না বিস্ফোরিত
বারুদের
ঝাঁঝালো গন্ধ কোন
কিম্বা মৃদু সুবাস ভরা
মদকতার অনুক্ষণে
বুদ হয়ে যায় না
নাসিকার
সংবেদনশীল সত্বা
গুলো......!
তবু থেকে যায় স্মৃতি
থেকে যায় ইতিহাস
থেকে যায় যৌবন
আর থেকে যায়
আকাশের অজ্ঞাতবাসও
নিয়ত মৌনাতার ডুব
সাঁতারে.....!
======================
উষ্ণ অহংকারে
-----------------
মুছে যাওয়া নাম
উৎক্ষিপ্ত অনন্ত শূন্যতায়
দেখাও হে আকাশ,
গোধূলির শূন্য দাওয়ায়
ভিজে যাওয়া রঙিন খামে !
চোখে অধৈর্যের উচ্চকিত
ভানুমতীর খেলায়
লৌহ কঠিন বিশাল হৃদয়ে
উষ্ণ অহংকারে
বুনে যাব,এক পৃথিবী গোলাপ
তন্ময় প্রতীক্ষায় স্বপ্নের
ঝংকারে
কোন এক ,
নীলরঙা আকাশের নীচে ....!
====================
দিশাহীন’
-------
নারী
কেঁপে উঠবে কি?
আচমকা ছোঁড়ে
যদি কামান গোলা,
যদি শব্দে
উদাসে,
দুর্যোগে দুর্বোধ্য প্রেমে
অর্জনের রুটির মতো,
আমাদের পদাতিক পদক্ষেপে
পরজীবী নিঠুর চোখ গুলো
যেন অনন্ত জ্যামে স্থির
নিরব
দিশাহীন ঝড়ে
যুগবিপ্লবী মেঘের মতো
দিগন্তে দিগন্তে
মৃত্যুকীর্ণ পথে পথে!
=======================