তৈমুর খান
আমার বাড়ি
ওড়ে সব সন্ধ্যাবেলার পাখি
দূর হতে দেখি তাদের ডানার রঙ্
কেউকে ডাকি না কোনওদিন
একা একা থাকি
আমার গোধূলিরাঙা বাড়ি
বাড়িতে নীরব অভিমান ।
একটি বিপন্ন ঘোড়া
ক্ষত সামলে ছুটে যাচ্ছি
যুদ্ধের মাঠে
একটি বিপন্ন ঘোড়া —
পিঠে সংসার চেপে আছে
দীর্ঘশ্বাস ফেলছে সদস্যরা !
অবিনশ্বর
আমি রোজ মৃত মানুষের কাছে যাই
মৃত মানুষেরা বেঁচে আছে
এই জ্যোৎস্না বায়ুপ্রবাহ জলের কল্লোলে
বেজে ওঠে আর্তস্বর, অবিনশ্বর
ভাষাগুলি
ডালে ও পাতায় তারই মর্মর ধ্বনি তোলে ।
আকাঙ্ক্ষিত
শূন্যতার সংকেতে বিমর্ষ স্বপ্নগুলি
অন্ধকারে চলাফেরা করে —
আমরা বিস্ময়ের আলোয় তাদের কাছে যাই
সব দরোজাকেই মনে হয় স্বপ্নদের ঘর
যদি দ্বার খুলে ডেকে নেয় !
দৃশ্য
বরষার জলে ভরসারা স্নান করে
আমি শুধু দৃশ্য মুদ্রিত করি
নিস্তব্ধতার জানালায়
চেয়ে থাকে আমার দুঃখের উট
পিঠে তার আদিম অন্ধকার.....