হাসিদা মুন
না
---------------
না - এখন আর
তেমন কোন সক্ষম বিপ্লব হতে পারেনা
ফরমালিন আসক্ত হৃদয়ে চতুর্দিকে দেখি
রাজপথে সব বুকেহাঁটা শুঁয়োপোকার আস্তানা
না -
এখন কোনো আপোষ হতে পারেনা
খুনিরা করে যায়
আধিপত্য
তাদের
হাতে পরে আছে দেখো
জগত রক্ষার - দস্তানা ............
*
দূষণ বাড়ে
----------
নিষ্প্রাণ সব ধর্ম
অকার্যকর কর্ম
গায়ে লোহার বর্ম
চিঁ চিঁ করে রাজনীতি
পরিবর্তিত প্রেম প্রীতি
উৎকট বাঙালীর
নব আকৃতি ...
কৃত্রিমতার বাস্প উড়ে
যাযাবর রক্তকোষের তোলপাড়ে
ড্রেন নালাতে দূষণ বাড়ে .........
*
পুড়ছে ‘স্বাধীনতার খ্যাতা'
--------------------------
মহান ত্যাগের শান্তি প্রতীক
বাংলার স্বাধীনতা
কপিরাইটের বেদম ছাপে
দেখায়
এখন - যা তা
পিয়ন
থেকে পিএম এমন
স্ব ধীনতায় জোতা
হাঁট বাজারে বিকোয় কেবল
রিপাবলিকান ক্রেতা
.
বর্গী' ছিলো বিজাতীয়
কু'জাত হচ্ছে স্ব জাতীয়
এখন এদের কোন দেশেতে
তাড়াতে চাও - ভ্রাতা' ???
.
রাস্তা ঘাটের ট্রাফিক জ্যামে
ইঁদুর দৌড়ে হাঁপিয়ে ঘামে
হাল হকিকত দেখলে বুঝায়
দাবানলে ঝলসে গ্যাছে
দেশ ও দশের মাথা
উড়ছে নিয়ম
কানুন বহর
পুড়ছে নগর
পুড়ছে শহর
পুড়ছে যেনো অমূল্য সেই - 'স্বাধীনতার খ্যাতা'
.........
*
মৌসুমি শব্দ কৃষক
--------------------
হে' মৌসুমি শব্দকৃষক
আকাশ বাণীর শব্দগুলোকে তুমি
ক্ষেতের জমিনে বুনে দিও না
জানোতো-
মেশানো শব্দবীজে
শুধুমাত্র মুখস্ত স্মৃতিকথা
সেখান থেকে
কি এক একপেশেপনা শিখে নিয়ে
একত্রীভূত হওয়া থেকে বেরিয়ে
বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়ে
আত্মম্ভরিতা বাড়ে অযথা ...
*
এখন এবং তারপর
----------------------
তখন এক 'এখন' নামের সময় ছিল
এবং এক ‘তারপর’ ছিল ...
এখন এখানে কিছু লাল নীল আঁচলে পাড় বোনা হবে
জীবন পূর্ণ সবুজ ভূমি বিছিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ
জানাবে
রূপালী শাখায় নদী বয়ে যায়
সূর্যের চুমু দেয়া দিগন্ত রেখা পর্যন্ত
এক সময় মরুভূমিও মুকুলিত ছিল
অবশ বীজ পত্র পল্লবে সাজানো ছিল
বৃষ্টির শোরগোল সৃষ্টি সেবায় মত্ত ছিল
জীবনের চমকপ্রদ স্পর্শতে স্পন্দনশীল হয়েছিল
সচেতন জীবন নিজেই নিজেকে প্রকাশ করেছিল
অসীম প্রণয়ে উড়নচণ্ডী ঠোঁটে কাছে ডেকেছিল
শ্লীলতামোচন তারপর’ ...
বিশ্বাসহনন বিচ্ছেদে
কষ্টের কান্ডে কাঁটা বেরিয়ে এলো
পথ কৌশল বলে দিলো
এখানে বহুমূল্য মাটি ফেটে যায়
এখানে সবুজ ধূসর হয়
এখানে রহস্যময় প্রেম আমন্ত্রণ জানিয়ে দূরে সরে
থাকে
রাত নামলে সমুদ্রের জল রঙ বদলায়
নদী বাঁক বদলায়
উদিত সূর্য দিক বদলায়
ইন্দ্রিয় প্রস্থ প্রান্তে রুপ বদলায়
সময় নতুন কিছু ‘তারপর’ মেনে নিলো
নাহ ! এখানে বিনাশহীন ‘এখন’ আর নয় ......
*
সবুজতার অদলবদল
------------------------
স্বর্ণবর্ণ বাঁশে কঞ্চির তরুণ পাতা দোলে
মিষ্টি বাতাসে সবুজতা করে অদলবদল
প্রকৃতি যেখানে সহস্র যুগেও ঠায় অবিকল
মনের বিদ্বেষে কেন মানবের বক্রভাব
কেন মুষ্ট্যাঘাত উঠে আসে অবিচল?
হিংস্রতায় পুরে দিলে বিপদসংকেত
উন্মুক্ত রক্তে নামে বিলাপের ঢল
কেন কেন – বিপন্ন হে সময়!
তোর বটুয়ায় ভরে দিস – আক্ষেপের জল?
শোনো হে মানুষেরা !
কন্ঠে তুলে নিওনা আর সংঘাতের ধ্বনি
চলো , জীবনের মাধুর্য দিয়ে – জীবনকে বুনি
প্রেম বিলিয়ে হই – প্রেমঋণে ঋণী
গুচ্ছাকার ফলে দ্যাখো কী যে শোভা পায়
দলছুট হয়ে পড়লেই – পায়ে দলে যায়
তোমরা কি অতীত থেকে ইতিহাস শেখোনি
দেখেছো দ্রাক্ষাকুঞ্জ – তার পতন দেখোনি?
*
হৃদয়ের শিখা
-----------------
দীপশিখা আন্দোলন করে জাগিয়ে রাখে
মোহময়
সমস্ত রাত
সময়
বয়ে গেলেও মনেহয়না
অপচয়
সাথে আলোহীন প্রার্থনায়
পাইয়ে
দেয় সমুদয়
সহজ সে
সমস্ত যাঞ্চায় - হৃদয় পোড়াতে হয়
শিখাকে নয় .....
*
মিথ্যা বসতি বাড়ী
-------------------
উপরে অদ্ভুত নেত্রবিশিষ্ট
নক্ষত্রপুঞ্জের
রাজত্ব সারি সারি
ধুলো চষা মাটিতে
গড়ে যাই
অনির্দিষ্ট - মিথ্যা বসতি বাড়ী .....
*
অব ধুত
----------------------
সব অব ধুত হয়ে গেলো - হে সুন্দর !
যেহেতু ঘটেছে পদস্খলন সত্যিকার ভালবাসার
কিছুকাল আগেও যা ছিলো লুকানো ধনভান্ডার
নিখুঁত
সুন্দর গড়ে তোলা এ বন্ধুবলয়
পরিপাটি হয়ে সৌন্দর্য বিকশিত করে যায়
সুমিষ্ট ভাষায়
অবিরত কথা কয়ে যায়
জেগে
উঠে দিবানিশি প্রাণের ছোঁয়ায়
জীবন্ত দেখার একাংশে লোভাতুর হয়ে
লাভের
বশে জাদু যোগ করতে চেয়ে
মূল্য উদ্ধৃতিতে এসে - ব্যহত সারাংশ পেয়ে
গলা দিয়ে নেমে যায় সোহাগে কষ্টের ঢোঁক
জেনো, এ প্রবন্ধের তলায় রয়েযাবে
ষোল কোটি - বেনামী লেখক .......