সুকান্ত মজুমদার
*তোমায় খুজি *
এভাবেই যে সাহস ভাসমান
তীব্র প্রতিবাদ ভোতা বাক্যযন্ত্র
বিষন্ন সন্ত্রাস আনমনা ইতিহাসে,
কিভাবি আমি অগোচরে নান্দনিক
সময় উদভ্রান্ত বাহিত উন্মাদনা
কেউতো বলেনা মিথ্যা আমি
শুধু নিতান্তই নিজেকে খাড়া করা।
যে যার আত্ম সংবিধানে আলো
সব পথ অন্ধকার জলমগ্ন
ঢেউ তোলে অবৈধ প্রেম
খেয়া তরি ভাষাহীন পারাবারে
আমি আর্তনাদ তোমায় খুজি।
পারাবার ভাষাহীন সদুত্তর
তুমি ভালো আছ আপেক্ষিক
কিভাবে দূঃখ আসে বোঝনি
জানবেও না কিভাবে কাঁদে
শুধু মর্মে নাদেখা মৃত্যু জাগবে
নিশ্চিত, বৃহৎ পরিসরে।
*কাকাতুয়া*
যে সন্ধ্যা সন্ধানে
দিশা উদ্ভট আপামর
যে আলো তোমায় খোজে
ভালোবাসি আত্ম সংযমে,
ভালোবাসে সবাই যে যার হয়ে
ভীতি অন্যতম অন্ধকার
আলো তুমি দিশাহীন দিক
দৃশ্যের দৃঢ়তায় সব কালো
কে সবুজ অরন্যের ভাষা ?
আলোপাখি ভাষা খোজে
বিজিত শঙ্খচিলের প্রতিশ্রুতি
চঞ্চু চঞ্চলতায় মাতামাতি
দ্বিধাহীন সংকটে ভাষাহীন
সংশয়ে দৈবের গানগায়
চিরদিন, আজকেও -
বুদ্ধির জীবিকা উৎসবে
সব লীন, কাকাতুয়া।
*যেভাবে চায় *
সহজ সুরের মাটিতে
জোৎস্না আবেশে খেয়া মেঘ
জীবন বৈভব রঙ সর্ব্বোচ
কান্না ছেটানো, যা বিবর্ণ -
এরা যেভাবে কথা বলে
হাসির খোরাক, উপহাস্যও
স্বপ্নহত্যার দায়ীত্বে মসগুল
দায়বদ্ধতা নেশাতুর দৌড়
ভ্যাম্পায়ার চরিত্র চিত্তে নির্ভিক।
যত সুখ বপন হয় আলগোছে
কঠিন পাথুরে স্বার্থের ক্যানভাসে
চারিদিকে সৃষ্টি অনাদরে
উল্লাস ব্যভিচার আলিঙ্গনে
সবাই ভাসমান মোহ জনে
লজ্জা সুমহান ঐতিহ্যে ম্লান
কারা বা কে সব শূণ্য
যেভাবে চায় সেভাবেই পায়
উৎসুক বিচার চিলেকোঠায়
তবু শক্ত চোয়ালে, হাস্যকর।
*কখন যেন *
এভাবেই কখোনো মৃত শব্দেরা
আছি বলে মৃত্যুর মিছিলে,
যে রাত বোবা বা ভাষাহীন
সবাই নক্ষত্র হয়েও অকেজো
মৃতপ্রায় যোজন দূরে।
হঠাৎ শব্দে ঘুমভাঙা প্রহর
একটা একক কান্না আধার চায়
আমি আছি বলেই থেমে যায়
অস্পৃশ্য আমাদের দৃষ্টি
এভাবেই ক্ষীণ আলোতে -
কখোনো যেন এ পথ
না আসে আমার আঙিনায়
মিথ্যা নিজ আস্থা, জেনেও
জোনাকি মন ঝোপ ময়
তাদের সে সন্ত্রাস সর্পিল
একগুঁয়েমি গ্রাসে আমিও।
*লাঙল*
বীরত্বের মশাল বিপর্যস্ত
কোন বিষণ্ণ দীর্ঘ ছায়া বিবশ
শৃগাল মস্তিস্কে অরণ্য রাজ
পথজুড়ে সনাতনী মায়া
পঙ্গু চর্চা বিস্তৃত চারিধার
বাঁশুরিয়া তার ছন্নছাড়া সুরে
চৈতন্য করে ছারখার।
দিবাস্বপ্ন মন্দ্রিত পরশ্রীতে
বিফল আচ্ছাদনে জঞ্জাল
কঠিন মাটি কাঁদে দিনরাত
সরস বুক গ্রাহ্যতা দেয় লাঙল
অভব্য আগাছা বিলাপিত
উস্কে উঠলো বুঝি লাঙল।