শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়
“মধুমাসের পদাবলি”
যদি সইতে পারো
যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা
তবে তৈরি কোরো একটি স্রোতস্বিনী
তাতে বইয়ে দিয়ো গোলাপ গোলাপ খেলা
যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা
বৃন্ত-ডাঁটায় কাঁটার বনভূমি
তবু হর কোরকে একটি গোলাপ ফোটে
যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা
তবে তৈরি কোরো এমন স্রোতস্বিনী
_______
স্বত্ব ছেড়েচি
দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার
নিয়ে যাক তোকে খেয়াঘরে কোনো ঘাটে
স্বত্ব ছেড়েচি, বসন্ত থাকেনা বেকার
দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার
অবারিত এই মধুবাতাসের ঘ্রাণে
করুক সে তোর কৌমার্যের হরণ
দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার
নিয়ে যাক তোকে খেয়াঘরে কোনো ঘাটে
_______
হত্যা করেছে কবুতর
সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম
বায়ুবন্দুকে ধরাশায়ী কবুতরী,
সাক্ষী মদন, বেকসুর সেই নাম!
সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম !
ওই হাতে বুঝি সৃষ্টি স্থিতি ও লয় -
একতরফায় বসন্ত বানভাসি.....
সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম
বায়ুবন্দুকে ধরাশায়ী কবুতরী!
_____
অমৃ্তর ঠিকানায়
দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে
খাকবসন্তে বেশ কিছু মাস পরে
নতুন জীবন নতুন গল্প তাতে
দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে
ইনল্যান্ডের সরু বর্ডারের ভাঁজ…..
আখরেতে গাঁথা ‘অমৃতা হলামনা তো’
দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে
খাকবসন্তে বেশ কিছু মাস পরে
______
এই অভিমান
কটা বসন্ত গেল হয়নি তো গোনা
সোঁদা হয়ে গেছে কথার
সাতকাহন
পুরোনো হয়েছে প্রসবের
যন্ত্রণা
কটা বসন্ত গেল হয়নি তো
গোনা !
বিরক্ত কোরোনা, লেখার টেবিলে আছি
প্রাণীজ পাথর প্রবাল জমেছে
বুকে
কটা বসন্ত গেল হয়নিকো গোনা
কলম ধরেচে কথার সাতকাহন…..