মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সোনালী পুপু



সোনালী পুপু

পাখনা
বড় বেশী ভালবাসি তাই
বন্ধনী র ব্যথা থেকে দূরে
কপালের ভাঁজ ছায়া ঘনার আগেই
মুঠো খুলে উড়িয়ে দিই মন প্রজাপতি।  





যোগ
তোমার সংগে দুঃখ যোগে
যুক্ত হয়ে থাকি
ক্ষুধার বিষে ব্যথার জলে
রক্তঝরা নীলোৎপলে
অজস্র দিন অনিদ্র রাত
প্রেম রেশমের রাখী
তোমার সংগে ব্যথার যোগে
যুক্ত হয়ে থাকি।
চরাচরের এপার ওপার
ছোট্ট ঘরের চালা
হোঁচট খাওয়া পায়ের ব্যথা
আগুন ধোঁয়ার জ্বালা
দুর্বিনীত একলা দিনের
স্বজন বিহীন রুক্ষ ঋণের
এক চুমুকেই গণ্ডূষ পান
হলাহলের সাকি
তোমার সংগে যন্ত্রনাতে
যুক্ত হয়ে থাকি।





কলম
একলা থাকা একলা লাগা প্রখর পল
তোমার মনে ছাপ ফেলে যায় সোনার জল
একলা সময় একলা মিনিট পথের মাপ
দুষ্টু মেয়ের দৌড়ে যাওয়া পায়ের ছাপ
একলা তবু একলা কি আর ব্যস্ত রই
কাগজ কলম ল্যাপটপ আর নতুন বই





ইলিউশান
যখন তুমি মাংস কাবাব খাদ্য নজর
আমার আঙুল পাপড়ি পাতায় সমাচ্ছন্ন
নতুন প্রজন্ম পায় অলীক সংখ্যা বিজোড়
মুঠোর ফোনে মৎস কন্যা হিংস্র বন্য

আলোর ধোঁয়া লাল পেয়ালা সায়াহ্নে ঢল
শপিং মলের বাষ্প মুখর গিলতে থাকে
হালকা ফুলের মন ভাবনায় ডুবছি অতল
আরাম কেন কেই বা বল খবর রাখে

কাজলা টানে ঠোঁটের তিলে চন্দন রাগ
শ্বেত কোরকের মধ্যে গোপন আবীরসোহাগ
সুগন্ধ ছুঁই রাতের সে জুঁই বর্ষার জল
                          নেই তো স্বজন তবুও কুহক সহস্রদল।