সৈয়দ ওয়ালী
অতএব খুঁড়ে চল
অতএব খুঁজে চল
বিরল দহন
পরিতোষ কাছেই কোথাও
থাকে;
এইখানে
বাস থেকে নামে সে,সহজ রোজই নাকি নামে!
কারা যেন বলেছিল?
রাত ফিরে এলে
নামে বুঝি শুধুই
আধার?
কত সুখই না নিরন্তর
খেদ আজ!
কত দুখই না অমেয়
পাওয়া!
অতএব খুঁড়ে চল
কমন বিরল,শীতল জলের কুয়ো কাছেই কোথাও থাকে...।
...
পথের গল্প
বহুবর্ণী
বহুধর্মী
পরাজয়
পিছিয়ে পড়াকে
নিচ্ছি মেনে যাচ্ছি
সয়ে প্রতিদিন;
কত কিছুই না করা যেত
সহজেই
চতুর হলেই;
কত কিছুই না পোরা
যেত
খুঁতিতে,সেয়ানা হলেই;
কিছুই হল না করা;গেল না
খুঁতিতে ভরার কৌশলী
চেতন যে কোন মূল্যে গড়ে তোলা;
দেখি,প্রতিদিন দেখি-
রকেট গতিতে ছাড়িয়ে
যাওয়া
ঝানু সব মানুষের
কদর্য মিছিল;কত কিছুই না
করার ছিল,দেবার ছিল,
ছিল দেখাবার কতই না
প্রাতিজনিক জাদুময়তা...
সরলা
হায়রে সরলা
তুই,সহজ লোকের বিমুখ পথ
সততা
হায়রে সততা
তুই,আতশী লোকের আত্মহনন।
...
যে পথে রূপকথা দেয় দেখা
মসলিন বোধ আর
মেধাবী ভজনে,ফোটে যে নতুন
অজ্ঞাত,ফোটে যে সুশীল
অর্কিড,অপ্রত বুনোফুল,
সে পথেই হাঁটাহাঁটি,করি নিত্য চলাচল;
এই মেঘ-মন
খাল-বিল হাওড়-বাওড়ে
এই বন-ঘুম
ঝোপ-ঝাড় পাহাড়-শিখরে
বাঁচি,আমোদ গ্রহন করি হর্ষে বিলাই;
এই পথ
নিগুঢ়ে স্বাধীন
আলতো ঢঙে শুধু
প্রকাশ্যে বাঁধা
এই পথ
অভূতপূর্বের খোঁজে
সীমার সুত্রে গাঁথা;
এ পথ চলে না গড়ের
হিসেব মেনে
এ পথ বলে না
শাস্ত্র-বিরোধী কথা
এ পথ লড়ে না
শাস্ত্র-পক্ষে কভু
এ পথ রচে না বিশেষ
দৃষ্টি বীজে
এই পথ
গাছেদের পাখিদের
ফুলেদের
মানবের মানবীর
আত্মার নির্যাসে গাথা;
এই পথ
অবিরাম বুনে চলে
নতুনের মুগ্ধ রূপকথা ...
...
গল্প ফাঁদার দিন
তবুও গ্রহন করি হাত,
মৃত হাত,
আদিম প্রতীক যদি
থাকে!
কত হাত এভাবে ধরেছি?
মনে নেই,
কেইবা এই ক্লেশ করতে
যায়, ঠ্যাকা তো বিশেষ কিছু নেই;
শুধু, হাতের গল্পই বলি ?
কেন, মাথা পচা মাছের গল্পও বলেছি তোমাকে,
তোমার এতোটা ভুলো
মন!
তুমি বুড়ো হয়ে গেছ
সোমেন,বন্ধু বুড়ো হয়ে গেছ;
কতটা জীবিত মানুষ
দেখেছি?
যথার্থ প্রশ্ন করেছ
হে,-শ'তে,কজনই বা বাঁচি আমরা?
তোমার
হাত বিষয়ক গল্প
আমার
ষাঁড় আর ঘাড় বিষয়ক
গল্পের মতই ব্যর্থ,
নন প্রডাক্টিভ;
বেশ বেড়ে একটি শব্দ, কি বল?...নন প্রডাক্টিভ!
ষাঁড়গুলো দূরদেশে
পালিয়েছে, ওগুলো প্রকৃতই ষাঁড় ছিল তো?
সক্ষম ঘাড়গুলো
লাগেনি কাজে; চল ফেরা যাক বলে-
উঠে দাঁড়াল বৃদ্ধ
দুই বক,
মেরামতি সাইকেলে চড়ে
ফিরে গেল,
গৃহে (?)।
খানিক আগেই ভেঙ্গে
গেছে হাট,
সাধুহাটি হাট,সপ্তাহে দুদিন বসে,
এ দুদিন
এ দুই আদিম বকের
গল্প ফাঁদার দিন।
বিরক্তিতে ভ্রু
কুঁচকে এই সব পাগলামো সইতে হয়
ঋত্বিক ঘোষের,
কি আর করা খদ্দের
লক্ষ্মী যে!
...
হরিৎ হেতু
উত্তরটা নেই,এইতো?
প্রশ্নটা ছুঁড়েই
উটকো দাবীর ভিড়ে ডুবে গেল,
প্রশ্ন আসল;
শোষকের মেদ,খাদ,
শুনিয়েছে-
লেইট নাইট পার্টি,মাতলামো,
আধুনিক মানুষের
শ্বাস;
শুনিয়েছে-
ইতরামো,ঘৃণিত ক্রিয়া নয়,
স্বাভাবিক,
হিজ হিজ হুজ হুজ
মহান প্রবাদ (?);
অতঃপর
মধ্যবিত্ত বলতে
শিখেছে
বিগ সাইজ ফ্ল্যাট,শীতাতপ বেড রুম,প্রাইভেট কার,
বিলাসিতা কেন? এ তো-
একেবারে সাদামাটা,সময়ের দাবি!
এহেন কতই না সুবেশী,ছেঁদা,চাহিদার পিছু ছুটে ছুটে
হরিত পথ থেকে সরে
গেছে সমকাল,সভ্য জীবন(!)
উত্তরটা আদৌ কি আছে
আর,মানুষের কাছে?
নেই?
নেই বলেই হয়তো,আমরা শুধুই আজ মনুষ্য ফসিল!
প্রশ্নটা কি যেন ছিল?
দেখলেন ভুলে গেছি!
এভাবেই
আমরা সবাই
ভুলে যাচ্ছি,ভুলে যাই আমাদের যাত্রার হরিত হেতু।
...