পারমিতা চক্রবর্ত্তী
ঘুমন্ত মরচে
..........................
ঘুমন্ত মরচের দাগ সমস্ত পুকুর জুড়ে
বাসী রজনীগন্ধা ভারে ব্যস্ত বিছানা
স্তনবৃন্তের রোমে জেগে থাকে
আলস্য ভরা রাত
ডেনিম শার্টের ভাঙা বোতামে
আটকে অনিচ্ছুক ...
দুঃস্মৃতি আজ কলম ধরেছে
ঘুন পোকার কালি হয়ে
নিষিদ্ধ বাসর , ক্লান্ত নীরবতা আমায়
বিপ্লবী করে যার আক্ষরিক নাম
ঘা ত ক
ওলটানো পনের বছর
.........................
টেবিলের এক কোণে বিস্কুটের কৌটো
তার পাশে
উপুড় করে রাখা পনেরোটি বছর
শহরে ইটের পরিমাণ বেড়ে গেছে
হঠাৎ আঁকা দৃশ্যগুলো ভীষণ
আপেক্ষিক
ভাঙছে দেওয়াল ...
চোখের উপর হরিণ , জলে নিঃশ্বাস
ভয়ংকর ভয় ইট সরিয়ে দেখে
জলপ্রপাত !
মাসিক
.......................
ঘাসের কাঁথা জড়িয়ে রাখে
উন্মুক্ত স্তন
প্রসূতি মাস মাসিকের গন্ধে
বৃদ্ধ হয়
উরু থেকে জঙ্খা অবধি
ভেজাল সর্বত্র শরীরে , হিংসতায়
ক্ষুরে , থাবায় আটকে
যৌনঘাম
ওই যে শিশু শুয়ে থাকে
ন্যাড়া হয়ে
সে ও বাতিল ভাবে
যথেষ্ট যথেষ্ট ...
ঘুমের মধ্যে যাও
নীলপোষাক
.....................
পারমিতা চক্রবর্ত্তী
এক শালিক দেখতে পেল
ঊনিশ কুড়ির বাড়ন্ত দুপুর ..
চিলতে খানেক জল পেরিয়ে
অর্বাচীন ঘাম নতুন চরে
এসে পৌঁছয় .....
অবশেষ তিক্ত কলকাতা রাতের
নীল পোষাক ছেড়ে নগ্ন হয়
বৃদ্ধ পরিচর্যায়
উরু থেকে .......
বুকের আড়ালে যতটুকু যৌবন
তার থেকে অনেক বেশি উদ্ধাস্তু
পাহাড়ে পা মুছে পাহাড়তলিতে
ফেরা ইনসলভেন্ট হাওয়াই
পরে .....
আফসোস ও আবডালের আড়ালে
সবটাই খনিজ ...
চেনা অচেনা
– আকাশ , একটা পায়রা চেয়েছিলে ৷ বলেছিলে ঘুড়ি হবে ৷ চলছে রঙের
বিরুদ্ধে অনাচার l কালো চশমা ৷ কত দিন চলবে আর
?
– আচ্ছা , ছত্রিশ নম্বর 'কিনুগোয়ালার ' গলিতে ওঠা যায় তবুও সম্ভ্রম বাঁচিয়ে .....
মাগো ..
-এতো গামছার তেলচিটে গন্ধ ৷
চ্যাটচ্যাটে ঘাম । স্যাতস্যাতে ঘর - তাও নাকি প্রেমময় !
– ডালহৌসিতে , রাগা ঘড়িতে ১১ টা বাজবে
– রাস্তাজুড়ে দিগবিদিক ছুটে
চলে বাস ৷
চড়ে বয়ে যায় পোড়া নদী ৷ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গঙ্গা উপদ্রবময় ৷
– চল কঙ্কাল হই ৷