চন্দ্রাণী বসু
নিঃঝুম
-----------
মুঠোয় ভার
উধাও ঘুম
রাত নিঃঝুম
রাত নিঃঝুম।
নকল শব্দ
নোনা চিবুক
পুড়ছে বুক
পুড়ছে বুক।
শরীর নেশা
মন বেবাক
নিশির ডাক
নিশির ডাক।
হেমলক প্রেম
বুকের তিল
উষ্ণ নীল
উষ্ণ নীল।
ডুবছে প্রেম
মুখোশ ফানুস
ভন্ড মানুষ
ভন্ড মানুষ।
মুঠোয় শূণ্য
খুঁজছে ঘুম
রাত নিঃঝুম
রাত নিঃঝুম।
ঋতুজরা
-------
সম্পৃক্ত গৃহিণীর চালশেতে...
দুই শালিকে ভালো থাকার মিথ,
অথবা রান্না ঘরের চালে
কালোয় সাদা নন্দলালের ছবি
অ্যালুমিনিয়ামের নাম খোদাই বাক্স
হাত ভাঙা পুতুল,দেশলাই খোল
কিছু জমানো বাসের টিকিট,
ক্যাডবেরি র্যা পারে লাগা কিশোরী প্রেম
এদের আর এখন ঋতু বদল হয় না ...
তিনশ পঁয়শট্টিই খোঁজে
প্লাস পাওয়ারের একটা চশমা
আর ক্যাশমিলেনের ওম।
মেনোপজের অপেক্ষায়...
নোভাস লিকুয়াসিও
---------------
এক আলোকবর্ষ সময় পেরোনো
মাইনাস দুশো তিয়াত্তরের পারদ
হঠাৎ ছত্রিশ ডিগ্রীর কোঠায় আনাগোনা...
সমান্তরাল রেলপথ ধরে অভ্যস্ত গন্তব্যে টানেলীয়
বাঁক
টানেলের অন্ধকূপে কোরিওগ্রাফির অদল বদল
অযোধ্যা পাহাড়ের গা বেয়ে
মহুয়ার গন্ধে মিশে যাচ্ছে
ব্যাগে পুরে নেওয়া
শিশির তলানীতে ঠেকা কবেকার
বাসী বডি পারফিউমের ঘ্রাণ
খোকাকে ফেলে আসা চিনচিনে মনখারাপ
মুছে নিচ্ছে চেনা সার্ফে ধোওয়া সাদাগেঞ্জীর
ক্যানভাসে
অসময়ে আঁকা সিঁদুরে পলাশ গুলো...
কোলাজ
--------------
১)
হাঁসেদের গুগলী খোঁজা
ডুব জল আয়নায়,
লুকিয়ে কাজল পরে নেয়
কাকতাড়ুয়ার পাহারায় থাকা দুপুর।
২)
শীত দুপুর এখন ভরা মাস।
মাদুর রোদ্দুরে
একঘর ফেলে দুঘর তুলে
উল কাঁটায় বুনছে
একখানা ওম রঙা সোয়েটার।
৩)
ঘুম দুপুরের ভারী কটিদেশ।
কিত্ কিত্ এর শেষ ঘরে ঘুঁটি ফেলছে টেপফ্রক
বিকেলের গা ঘেঁষাঘেঁষি ল্যাপ্টানো সিঁদুর টিপ
মুছে যায় কাজলধোয়া জলে।
না ফেরা
---–----
ঠোঁটের দিব্যিরা পরবাসে অন্য দুপুরে
নিশ্চিন্ত আশ্রয় খুঁজেছে।
:
ঘুঘুর ডাক,ব্যালকনি রোদ্দুরে
জড়ো করা একদুপুর অভিমান
কুরুশ কাঁটায় অবসর বোনে।
:
ডাকটিকিট না সাঁটা দিব্যি গুলো
পর্যটনে যাবে বলে,আর ফিরে আসেনি।