মীনাক্ষী মুখার্জী
অক্ষরে আগুন জরানো ...
অতীতের নামে ডাক দাও
শিল্পপোড়ে নির্জন দুপুরে
আমি বর্ণান্ধ
বনসাই প্রেমিক ছায়া ঘরে দ্বিধাগ্রস্থ
অরব বসে দেখি ফিঙে
বোবা ...।
কে কাকে দেখছি !
মেঘেদের উড়ান উড়ো
চিঠি আনবে
অপেক্ষা ...
নীলখামে অসুখ চির চেনা ,
অচেনা আজ !
অক্ষরে আগুন জড়ানো
উল্টানো চোখ
বিস্মৃত আমি ....
…………………………………..
ব্যঞ্জনা
বৃষ্টি র গালিচা
অপেক্ষা জমানো
কানামাছির উল্লাসে মালঝাঁপ
চাঁদের ভর - মাটির
বুক ক্লান্ত
লবণ হ্রদে উপোসি ছায়া ফেলে
ভেংচি কাটছে বিনয়ী
আয়না
দেশলাইয়ের ফুসফুসে
বারুদক্যান্সার
উপবিষ অন্তরের শক্তি
যোগানে
ঘড়ির কাটায় কেটে
যাচ্ছে সময়ের আত্মা
অকারণে মন খারাপের দরজা খোলা
হাওয়া বসে ঘামছে দূরে
ঘরের চতুষ্কোণ
জুড়ে এ কিসের ভাবনা!
কোন ঘুমন্ত শিকড় ডালপালায় পিছনে ফেলছে আমাকে
শুধু জেগে আছে
প্রশ্ন উত্তরের ব্যঞ্জনা।
…………………………………………
বিলাপ
বিলাপ করছে দুপুর
রোদ কুড়ায় নারী নাম
আর কবি হেলান দিয়ে , একটা না - লেখা খামে ।
ছদ্ম হয়ে হলুদকরবী
স্নান করায় বান ,
ভাসায় .......
মূহুর্ত -
ওষ্ঠ ভেজা জল
লেহনে নোনতা আঁশটে রক্ত লালা
ধমনী নির্ধূত
রূপময় কাত্যায়নীতে ।
………….
ম্যাগমা
অস্তিত্ববাদে আমি নেই
তবু প্রদীপের উজ্জ্বল শিখায়
যোজন যোজন হাত দূর থেকে
কম্পন ছিল অভিজ্ঞায় ( তোমার আমার)
তোমার স্পর্শ অমূল্য হয়ে ওঠে
অভিসারী বুকে
নির্জনতায়
প্রেমের আতসকাঁচে সূর্য দশমিক
মুখোশের রোদ্দুর উপচে
ফোসকা ম্যাগমাশরীর আমার
জন্ম হচ্ছে নতুন
আগ্নেয়শিলা
অনন্ত ঘুমের ছায়ায়
…………………………………….
অপেক্ষা তোমার
যেদিন থেকে তোমায়
আমি যাপন করেছি....। তুলে এনেছি নি:সর্গের ভিতর থেকে প্রেম, বর্ণ। ধানরঙা রোদের
হেয়ালি চুরি করা কুয়াশা বিদায় জানিয়েছে আমার পোষা শীত পায়রার বাঘবন্দি পথ। উন্মুক্ত বাতাসের কথকতায় শিবির সাজাই
চল প্রেম ঘ্রাণের, অথবা জঠরের অতন্দ্র সুখে - ফিরে এসো
আসো যদি ফিরে
একবার
তনয়