শাহানারা ঝরনা
কবিতা
এ এক অবোধ্য ধারাপাত, পাঠ করতে লেগে
যাবে দীর্ঘ সময়। ততদিনে পাসওয়ার্ড পাল্টে পাখিরা চরাচরে মিশে যাবে। শুনবো চারিদিকে
নিস্তব্ধতার কোলাহল। আমার কবিতারা যেন সোনালি ডানার পাখি - বর্ণমালার চঞ্চলতা বোঝে। সাতমহলার শাদা শাদা সুখগুলো
যেদিন প্রজাপতি হবে, কপালে এঁকে নেবো শুক্লাতিথির চাঁদ। জলধ্বনি ভরা বুকের ভেতর কবিতার
একটা বায়স্কোপ থাকবে- আমাকে শাসন করবে ঈঙ্গিতে, ইশারায়!
ক্রান্তিকাল
"মন দিলো না বঁধূ - মন নিলো
যে শুধু "! আচ্ছা, তুমি কি জানো, শচীন
কর্তার এই গানের সুরে একদিন মায়াবী কবুতরও
নেচেছিল! দৃশ্যতঃ ওরাও জানে নাচের মুদ্রা, তোষামোদি বিদ্যার চেয়ে এ-ও বরং অনেক ভালো!
প্রান্তিকা! বড্ড ক্লান্তিকাল চলছে। শতাব্দীকে বেঁধে নাও আঁচলের কোণে। প্রযুক্তির বধ্যভূমিতে
আঁধার নামুক, সত্যদর্শন ভুলে আমি হবো স্বপ্নের এপিটাফ।
শিরোনামহীন
কারো ডাকে ভাইরাল হবো এমন মন আমার
নেই। পোড়ামাটি জীবন বাঁধা সুতন্বীর ফন্টে, মননকে সেভ করে রাখি নিজস্ব বলয়ে। লোকালয়ে
বসে কেউ বাঁশিতে সুর তোলে, তাঁর কখনো প্রয়োজন পড়ে না রক্ষণশীলতার জানি, সে-ও একদিন
রপ্ত করে নেবে রেশমিচুড়ির সুর -- ঠোঁটে, কন্ঠে এমনকি পরাণের গহীনেও। পারলে শিরোনামহীন
একটা দেউল দিও, যেখানে নিঃশব্দ রাতজুড়ে দেবারতি হয়!