কাকলী মুখার্জী
কি চাও!
আমার ছায়ায় বসতে চাও তুমি?
হালকা শীতের মিঠে রোদ্দুরে!
মাথার ওপর অমলতাসের নরম আদর!
আর মখমলি ঘাসের সবুজ গালিচাতে!
আমার সাথে হাঁটতে চাও তুমি??
শেষ বিকেলের সেই নীরব হাতছানি!
ওই যে দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা র চূড়া,
পাইনের সারি বাধা পথে!!
আমার দীঘল চোখে হারাতে চাও তুমি???
আলো আঁধারি ভরা জারুলের জঙ্গলে!
মায়াময় ছায়াময় সেই নিশ্চিন্ত গহীনে!
সেখানে টলটলে দীঘিজল ডাকে!!!
আমার বুকে কাটাতে চাও তুমি????
শত সহস্র বছর নিবিড় আলিঙ্গনে!
এ অধরে ওষ্ঠ মেলাও তবে,
সহবাস চাও যদি বিশ্বাসের
অজানা অঙ্গনে.....
চাঁদ মেখে পাড়ি দেব
চারিদিক কেমন নিথর নিস্তব্ধ!
সমগ্র চরাচর শান্ত নিঃশ্চুপ!
নদীর জলে সন্ধ্যা নামলো,
আর চাঁদ ভেসে গেল...
ডুবে গেল বিশ্ব সংসার।
আকাশের দিকে তাকাতে হয় এসময়,
নীরবতা না থাকলে, বোঝা যায়না নক্ষত্রের কথা!
অথচ ওরা কতো গল্প বলে!
গল্পগুলো চাঁদের গা বেয়ে
মেঘ মেখে, রেনু রেনু জোছনা হয়ে
নেমে আসে নদীর বুকে,
চাঁদ হাসে,মন ভাসে....
জলে তার ছায়া এঁকেবেঁকে চলে!
কাকে ছুঁতে চায় মন তাই
ভেসে যেতে বলে!!
অন্ধকারে তরী বেয়ে যায় কে!!!
হাঁক পাড়ি, 'পাড়ি' দেব বলে.........
আজ ভোরে
আজ ভোরে তুমি বললে 'সুপ্রভাত'...
'ভালো থেকো তুমি',
আমি হাসলাম মৃদু হাসি,
ভালো থাকা কাকে বলে জানো তুমি?
মুখে বললাম, 'ভালো রাখলেই ভালো থাকি',
অবাক দৃষ্টিতে তাকালে মুখের দিকে,
পড়তে চাইলে আমার চোখের ভাষা,
কিছু বুঝলে, কিছু হয়তো না বোঝাই রয়ে গেল!
কি করে বোঝাই...
তুমি ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকি!
তোমার গলার স্বরে বুকে মোনাল ডাকে!
তোমার মুখের প্রশান্তি হিমালয় দর্শন করায়!!
তোমার সান্নিধ্যে হাজার বাতির রোশনাই!!!
তোমার বুকের মধ্যে মিশে থাকার সুখ,
হিম শীতল রাতের পরে
নতুন সূর্যের ওম !!
তোমার চোখের ভালোবাসার চাহনিতে,
বুকের বাঁদিকে লোহিত রক্তের উষ্ণ পস্রবন!!!
নাহ! এ সব কিছু বলা হয়না তোমায়!
বলা যায়না যে!!
তাই এক মুখ হাসি নিয়ে কথা বলি, চেয়ে থাকি,
ভালোবাসি, 'ভালো থাকি'!!!
আমার মুখের হাসি যে বড়ো প্রিয় তোমার .....