শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

রত্নদীপা দে ঘোষ


রত্নদীপা দে ঘোষ

ঈশ্বরকে যত লাভ করবে ততই বিচার কমবে – তাঁকে লাভ হলে আর শব্দ বিচার থাকে না- তখন নিদ্রা-সমাধি-

অন্তহীন অন্তরে এক নদী তুমি। ফল্গুবনে বয়ে চলেছ নিরবধি।

তোমার কন্দরে অজস্র ইচ্ছা–অনিচ্ছার বসবাস। এই বসবাসগুলি তোমাকে দিবানিশি টানাটানি। আর তুমি ওদের পিছুপিছু ছুটোছুটি। তোমার শরীর কর্দমাক্ত। তোমার মন নানা প্রকার সাপুড়ে এবং সাপ।

বিষঝাঁপির কোলাহলে কোথায় তোমার ধ্যানউদ্যানবট? কোথায় তোমার নিঃশব্দ প্রতিভাস? চারদিকে এতো এতো রাসায়নিক ফাঁদ...

শুধু একটিবার শব্দহীন দীনহীন হয়ে, নিয়মের উপত্যকা খুলে দ্যাখো সেই অবিনশ্বর সিন্দুক। পেটিকাপূর্ণ দয়াল। এই পূর্ণতা, পান্নাপ্রবালের থালা-বাসন নয় গো।

এই পূর্ণজ্যোতি আসলে আগম-নিগম-দর্শনের পরম কাঁচাসোনার বাতিমোম।
মানচিত্রে মাতোয়ারা ইচ্ছাময়ীর ভান্ডারা ...






মা , তোর খ্রিস্টান ভক্তরা তোকে কীরূপে ডাকে তাকে দেখবো, আমায় নিয়ে চ

দেখতে চাইছি তোমার। সর্বাঙ্গশোভিত অর্চনা। আরাত্রিকাও।

কি করে আরতি বাজে তোমার? ঘণ্টাধ্বনির আতর বয় কি ভাবে? বাতাস কোন স্বরে নাম জপ করে তোমার? গানতলার আকাশে, কী ভাবে তৈরি হয় যীশুসঙ্গীত?
তোমার সবখানি জানতে চাইছি গো মা...

কোন ভাবমাত্রায় ভজনা হয় তোমার বাইবেল ? তোমাতে নিমগ্ন ধ্রবতারা কোন স্বরে হৃদ-চমকের ত্রিপিটক? কোরআন তৈরি হয় ভবসাগরের কোন তলায়? কোন স্তরে ভাসমান তোমার আল্লাহতালা? হাসিগুলিই বা কোন কারখানায়, রুপান্তরিত হয় কান্নায়? পুনর্জন্ম কি কোনো ভিনদেশের নাম?
ধর্মগ্রন্থ নাকি ধর্মভীরুতা দিয়েই তৈরি হয় জোনাকিদের কড়ানাড়া?

দেখতে চাই ... কখন তুমি উঠবে জেগে, পাহারা দেবে ধরিত্রীর ব্যক্তিগত মাতোয়ারা।
আমার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বসতগৃহটি। শুনবে তুমি মন দিয়ে।

ব্যাকরণসম্মত হে সুদুরপ্রসারী, আশা-বিহারিণী-মায়াবন-পরিখা ...







ধ্যান করবে মনে, কোণে আর বনে

যতই ধারণ করবে ঋষিবৃক্ষ, ততই আত্মজাহাজের জলচক্র ব্রিদ্ধি পাবে, বাড়বে তীর্থের কনক-নন্দনা।

চোখে চোখে ছড়িয়ে যাবে অলৌকিক দপ্তর। ধ্যানের চারাগাছে ফুটবে প্রকৃতিশিক্ষার কুঁচফল। হিল্লোলস্তূপ। বেজে উঠবে বরাভয়ের নীলিমা।

তিনি ছাড়া এই উসকোখুসকো উপগ্রহে, যজ্ঞগন্ধা আর তো কেউ নেই গো।

অতিক্রম করো প্রদেশব্যাপী রণ-পা। ধূমায়িত কল্লোল থেকে সরিয়ে রাখো নিজেকে। অপরূপ ময়ূরে সম্পদ করো অমিয়স্বচ্ছ জৌলুস, ধ্যান করো মনের এক কণায়, লক্ষ্মীমন্ত সৌরতাপ। ছড়িয়ে দাও পিদিমবতীর তনু, জ্যোৎস্না।

রেণুটগরে নুয়ে এসো রে মন... এসো পারুলে, চম্পার হিতৈষিণী ধারায়।