শংকর ব্রহ্ম
নারী তোমাকে
এক.
যদি পশু হয়ে জন্মাই আবার
শুধু
তোমাকেই ভালবাসব নারী
কিংবা পাখি হয়ে যদি
শুধু তোমাকেই ভালবাসব
অথবা কীট হয়ে যদি তবু তোমাকেই নারী
আর পতঙ্গ হলে?জানি
না - জা নি না।
দুই.
কবির তৃষ্ণা তুমি মেটাতে পার না কবি সেটা জানে,
তবু তোমাকে নিয়েই কবি মেতে থাকে সারাক্ষণ মনে ।
নারী, তুমি তো গোলাপ নও কবি সেটা জানে,
তবু গোলাপের উপমায় সে তোমাকে কবিতায় সাজায়।
চাঁদেও কলঙ্ক জমে - তবে আর তুমি কোন ছাড়?
তোমাকে যে ভালবাসে সে-ই জানে,
ভাল মন্দ সুধা কষ জমে থাকে ভিতরে তোমার।
এ'সব জানার পরেও কেন তবু তোমাকেই নারী,
কবি এত ভালবাসতে পারে?
জা নি না,
জা নি না।
কল্পনায়
শীতের দিনে বন্ধু বিনে দিন কাটে না আর,
কাছে এসে বসার সময় হবে কি আর তার?
শীতের দিনে কখন তুমি আসবে কাছে বল,
কাছে এলে বলব তোমায় মাঠের রোদে চলো
একটুখানি বসবে পাশে শিশিরমাখা নরম
রোদও তখন বলবে হেসে,
'ভাল করেছিস' এই ঠান্ডায় আমার কাছে এসে।
বুকের মধ্যে উষ্ম ওমে,শীতের কামড় যাবে কমে।
এ'সব মোটেই সত্যি তো নয়,সবই আমার কল্পনায়
শীতের কষ্ট দূর করতে,এ'সব ভাবতে হয় আমায়।
নিজের সাথে কথা
মেজো মাপের কবিরা সব,
নিজের ছাড়া অন্য কারও লেখা পড়েন না,
আর যারা বড় মাপের?
তারা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে কবি ভাবেন না।
আর আমরা যারা ছোট মাপের
থাকি মধ্যে নানান চাপের
আমরা যে নই কারও বাপের,
তা'তে কাদের কি?
আমরা নিজের আনন্দে'ভোর কবিতা লিখি।
কেউ পড়ে, কেউ পড়েন না
কেউ বা কবি বলেই ধরেন না
তা'তে আমাদের কি,
আমরা শুধু নিজের সাথেই নিজের কথা বলি।