নাসির ওয়াদেন
গ্রাম
নেশা লেগে গেলে অন্ধকার কারও কাছে
নিবিড় আলোর দাগে হাত মেলায় সুখি
শ্যামল প্রান্তর যেখানে কাঠবেড়ালি গাছে
চড়ে পেয়ারা খেতে চেয়ে আজ বড়ো দুখি
ছোট ছোট ঘাস কথা কয় উঁকি মারে আলোয়
প্রজাপতি রঙ ঢালে, গিরগিটি শুষে সেই রং
ছোট্ট বাখারি খাল, নোনা মাছ ভাসে জলে ওই
কিচিরমিচির বাতাস শনশন বহে থৈ থৈ গাঙ
একটু বৃষ্টি হলে রামধনু সাতরঙে দিগন্ত রাঙায়
আকাশের নিচে জ্বলে গাঁয়ের প্রদীপ, সাঁঝবেলা
মাঠে মাঠে গো-ধেনু ডাকে, হাঁস চড়ে ডাঙায়
মাছের বুকে কান্না শুনি, চাঁদ জ্বলে কালবেলা
ফিরে যেতে চাই সৌন্দর্যের
কাছে নবীন ক্ষেতে
যে জীবন ফিরে আসে প্রতিটি সকালে সন্ধ্যেতে
অভিযোজন
মিথ্যা বলিনি, সত্য শুধু নীরবে গোপনে
আড়ালে আবডালে মুখ ঢাকে ঘোমটার
ছিল রুমাল হল বেড়াল ছেঁড়া ঝোলার ভেতরে
তথাপি, সুখ-দুঃখ ভুলে রাত্রি একাকী থাকে
একটি মিটমিটে তারা আগুন লেগেছে বনে
যে আগুন ভালবেসে লাগিয়েছে মানুষ
শীতের অবসানে প্রখর শিমুলের উজ্জ্বল ফুলে
শিউরে ওঠে শার্দুল, ঝলকানি নীল চোখের
নিত্য যেখানে ফোটে ফুল ঘনবর্ষায়,হেমন্তে,শীতে
সেই অবিকল রূপ নিয়ে ফিরে আসি বসন্ত,শরতে
হিমানী শরীর
আমার ধূসর শরীরে কুয়াশার বুনো দাঁত
উপবাসে, অনশনে লেজ নাড়ে
যুবতী ঘাসের রঙ নীল হতে হতে সবুজ
পোড়া বাঁশি বাজে
বিশেষ সংকেতে
রাতের ফোঁটা ফুলগুলো হিমেল বাতাস
কাটে মাংসল কুড়োল-চাঁদে
নজরবন্দী কাঁচের দেয়াল ঘিরে শোক
একান্ত সান্ধ্য ময়ূরী
মুখ তুলে থাকে
অচেনা টিপ ছুঁয়ে শপথ করেছি মৃত্যুর
মৃত্যুফুল ফোটার আগেই হাসি
কেঁদে ওঠে মেঘ রঙা রোদের পালকে
জলের নীচে আঁকে ছায়ালিপি
কস্তুরী রঙে গালিচার কোণে
আমার হিমানী শরীর মেখেছে গোধুলি ছাই ভ
ছাইভস্ম মিশে গেছে প্রকৃত কামনার ভিড়ে