সুবীর সরকার
শীত
গমখেত ছুঁয়ে কি তীব্র হচ্ছে শীত।
বিপর্যয় সামলে নিই।তারপর আবার দেখা
হবে
আমাদের।
সাইলেন্স নেমে আসা পৃথিবীতে
রক্তে চিনি বেড়ে যাওয়া মানুষেরা
ঘুরে
বেড়াচ্ছে
ভরা হাটে পুতুল কিনি।
সরষেরঙের সানগ্লাস কিনি।
ছুটে আসছে ধুলোর রথ।মাছের কাঁটা
ভুলে
যাওয়া
বেড়াল।
বাঘের থাবার নীচে রেখে আসি
রুমাল।
কান্না
ক্যাম্পফায়ারের রাতে খুব কান্না
উঠে আসছিল
চুপচাপ কথার উনুনে গুঁজে দিচ্ছিলাম
কাঠ
দ্রুত দূরে সরে গেলে তুমি!
এদিকে গলায় মাফলার জড়িয়ে ড্যান্সবার
থেকে
বেরিয়ে
আসে নর্তকীরা।
আমার খামারবাড়ির দরজায় শকুন বসে
থাকে
দাঁড়কাকের ছবি তুলে রাখি।
কুয়াশায় ডুবে যাওয়া সাঁকো আর শীতল
করতল
নিয়ে আবার খুঁজতে শুরু
করি
একটা হাডুডু খেলার মাঠ।
সুইসাইডাল নোট
'শিবিরে শিবিরে কত পাখি'
আমার কোন শিবির নেই
তাঁবুতে পেতে রাখা ক্যাম্পখাট নেই
এই জ্বালাও পোড়াওএর দেশে দুদন্ড
শান্তির কথা ভাবি
ডাহুক পাখির পায়ে বেঁধে দিই আত্মহত্যা।
ম্লান লণ্ঠনের আলোয় ভেসে যায় সব ও সমস্ত
ব্যালাড
কান্না তো আবহমান।
বিশ্বাসঘাতকদের জন্য আমি বানিয়ে
দেব
হাসপাতাল
মুখে মাখিয়ে দেব বাস্তুসাপের লালা
আমার অসুখ সারিয়ে দেয় ফসলের
আদর
আমাকে বিদ্ধ করতে গিয়ে কেমন ভোঁতা
হয়ে
যায় ধারালো ছুরি
শীতের বানে বিকেল ডুবছে।আর
আমার ওভারকোটে তোমার
আঙুল