অনিন্দ
ঘোষ
১
manifesto
ব্লেড
চিরছে শরীর। মহানগরীর। সুঠাম ধূর্ত। ঋজুহিংস্র। বয়েসের আগেই জওয়ানী। দাঁত আর জিভে কাটা
কাপাসের বুলেট। সে দাগ, বেয়নেটের লাভায় চিরস্রোত এবং স্রোতিনী। দাবানল জাগেছে তাই।
প্লাবনের ধূম। পলাশের আগুন। বসন্তের বেতস জুড়ে শেকলভাঙা।
ও শেকল
তুই কাকে পাঠাস বিপ্লবের তাস, বাঁটোয়ারা বাটিস বহুতল উন্মাদনায়, ঊষার ভোরে।
ও ভোর,
তুই কেন সকলপর্ণের অন্তহীন টোপগ্রাফি। অদৃশ্য পূর্ণিমার জবানবন্দী।
এই দারুগ্রহ
উত্তর দেবে না জানি। এইসব অলীক অশ্লীলতা দায়ভার নেবে না জানি।
স্নানঘরের
স্তব্ধতারা শুধু উচ্চহাসি সরল দেবে খানিক, বাথটবের দেবিশয্যায়।
রাজা রানী বীচ মে বীচ
মন্ত্রগুপ্তির
পেছনে অনিশ্চিত এক বিশ্বলোক, আঁটসাঁট ধনুকতীর
উলগুলানের
আঁচ গায়ে মেখে শুয়ে আছে মমি, ফুয়েরার শতাব্দী শীতল, হিমঠাণ্ডা লাইফ বিগিন্স। ফিরিস্তিগুলি
বলির পাঁঠা। আঠা খুঁচিয়ে বের করা ক্ষত।
চোরাগর্ত
থেলে বেরিয়ে আসে শ্বাসফড়িং, যেনতেনরা মাতে ২০১৬ সালের প্রাক্তন প্রেমিকায়। কোলন কমাদাঁড়ি
এইসব কিছু বনবন ভেবেছিলাম মমির গায়ে মাথায় বুলিয়ে
একটা
abstract মনুদেব লিখবো। আপাতত পৌঁছেছি মহম্মদ অব্দি। ব্যাটাকে চিতায় ওঠাবো কবে, অন্তত
একখানা নগ্নলোক লিখবো ভাবছি আমন্সময় দেখি আমাকে পাগল ভেবে, হাসতে হাসতে রাস্তাটা বেঁকে
গেল একটা হরিদিনতোগেলোর দিকে।
সর্বহারার
একাত্মবাদ
ও হরি
ও দিন তো গেলো শুনুন এদিকে, আসুন না দুজনে মিলে একটু চিন্তামণি করি, নেশাভাং করি
... আরে মশাই দেখুন এদিকে, একটা জেব্রা দুটো ক্রসিং বসে আছে আপনার ডান দিকে। ভয় পাচ্ছেন?
ভয় কিসের?আসবে, সেই দুধ দিয়ে
ও হরি
ও দিন তো গেল বাবু আরও একটা ক্রসিং, আরেকখানা জেব্রা কেমন?
তার আগে
আসুন না, একটু ডোরাকাটা করে নিই এই কালীদা।
ভিড় ও নেই একদম, খোদ রাস্তাটাই নেই যে ... সে এখন
বাপের বিয়ে মাপ্তে গেছে। নতুন মায়ের নাকি পেট বেঁধেছে।
সেই কখন
থেকে একা একা সমস্ত পৃথিবীটাকে জাগিয়ে রাখছি ঘুমাতে দিচ্ছি না
রাস্তার
মা টা বাচ্চা বিয়োবে, বুকে দুধ