শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সোনালি পুপু


সোনালি পুপু

মনসিজ

এই সময় ওই সময় সবাই
প্রত্যেক দিন ভাবছে
আমিই প্রথম চুমু খেলাম এর আগে কেউ খায়নি।
আজকের দিন আজকের রোদ
ছুটছে আর ভাবছে
আমিই প্রথম দৌড়ে যাচ্ছি
আর কেউ গান গায়নি।

একটা মেয়ে উস্কো চুলে গাছের গন্ধ আনমন
একটা ছেলে অন্যমনে
তাকেই শুধু চায়।
তাদের ঘিরে প্রাবৃট আর
দখিন হাওয়ার আলপনা সব
তাদের ঢাকতে
শীতের চাদর গায়।

আমিও সেই মেঘ কুয়াশার
আদর ঘিরে ঢাকি
অন্তবিহীন বুকভাঙা গান
 অনন্তকাল চাওয়ার 
আমি ত সেই মেঘদূত আর
গুহার  দেয়াল আঁকি
সব জাতকে, হে মনসিজ 
 শুধুই তোমায় পাওয়ার। 
      





পঞ্চম

বাবা আমায় সরগমের ডানা দিয়েছিলেন।
পঞ্চমে পা রাখতেই
 স্থির হল হৃদয়ের তার
আমি ভেসে গেলাম।
 হে পঞ্চমী পলাশের দিন
হে বাসন্তী উতলিয়া হাওয়া
নেহাতই বাংলার ঢেউয়ে
ছাপোষা শিবের ঘরে আলো
ঘরোয়া আমের শাখে মুকুলের উচ্ছ্বসিত ঘ্রান  
কুমকুম চন্দনে আর কাঁচা হলদি কচিপাতা নেশা
তুমি বলে শব্দ এল বাংলা অভিধানের পাতায়
ওরা বলে ভ্যালেন্টাইন
ওরা নাকি প্রেম খুঁজে পায়   
আমি কিন্তু সেই থেকে বানভাসি
উদাসী হাওয়ায় ।     







চিরহরিৎ

সেই যে সে দিন হাবলা ছেলে
চোখ নামিয়ে রাস্তা হাঁটা
সেই যে সে দিন মিচকে পটাশ
ফচকে মেয়ে চশমা আঁটা
অংক খাতা পেনের কালি
বুক ঢিপ ঢিপ
চাপান উতোর
বইয়ের পাতায় চিঠির কাগজ
ঘাড় ঘোরানো নানান ছুতো


সেই ত ফাগুন আগুন নিয়ে
পলাশ হাসি হাসতে আসা
সেই ত বাহার বসন্ত আর
খুন খারাপির মন্দ বাসা
চিমটি কাটা খুনসুটি তাই
ঝগড়াঝাটির ফর্দ বাড়ে
রং ছড়ালে দিন গড়ালে
সানাই বাজে মনের ঘরে 

চশমা যখন গম্ভীর হয়
চুলের পাশে রূপার তুলি
কমতে থাকে চেনা মুখ আর
চামড়া জুড়ে রেখায় বলি
মধুর গানের ছন্দ এসে
বসন্ত দিন মোছায় ধুলো
ভাগ্যিস এই বুড়োদের ও
চৈত্র ফাগুন এসেছিল।