অভিজিৎ দাসকর্মকার
ঊষর ভূমির দখলগ্রস্থ
পরাশ্রয়ী ইন্দ্রিয়টি সেনসুয়াস রং ধারণ করলে
আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াও সত্যবাদী নিষাদ;
বেসামাল নদীও চরিত্রের অসহিষ্ণুতায় মেঘমল্লার বেঁধেছে__
যাকে পরজীবী উদ্ভিদের পরশ্রীকাতর শরীরে
লালানিসৃত করা হয়েছে বলা চলছে,
আষাঢ়ের ভরা পোয়াতিবেলার দিব্যি,
সেই জিভ ঊষর ভূমির দখলগ্রস্থ হোক____
স্তাবকতার চিৎকারে চুপিচুপি রাতও প্রায় ক্লান্ত,
বিসমিল্লার সানাই শোনার আনুগত্য ছিল বলে
আকাশবাণীর বাইরে অনেক ঈশ্বর দাঁড়িয়ে___
বিচারহীন ষড়যন্ত্রে ইন্দ্রিয়ও অত্যন্ত হীনমন্য...
রাত ১১:৪৮ মিনিট
অসমাপিকা চাঁদও আজ বেদুইন__
জঙ্গল-সন্ধ্যা অসাড়, তবুও আদরিণী।
নিশুতি জোনাকির শ্বসন আলো সজীব করেছে বুক পকেট।
ছাতনা স্টেশনে শব্দহীন ভাবে দাঁড়িয়ে আছি,আর
অন্ধকারের পাকামিগুলে টসটস করে ঝুলে রয়েছে শব্দকল্পে___
সমান্তরাল রাস্তারা ব্যক্তিত্বকে পাশে নিয়ে হাঁটছে।
নাসারন্ধ্রের অ্যানাটোমিতে তারারাও একফালি হয়ে
গড়িয়ে পড়ছে জিলিপির ঠোঙায়।
গরম অথচ উর্বর
হচ্ছে আমার মস্তিষ্ক।
পাটখেতের উপর বয়ে চলেছে দেশরাগ।
মোমবাতি মিছিল জ্বলে উঠছে রাস্তার পূর্বকোণে।
... ঠিক তখন
রাত ১১:৪৮ মিনিট |
ঊর্ধ্বে
স্থায়ী দুঃখের বিষয় নিয়ে চৌমাথা বরাবর গরিবেরও গসিপ।
ইস্, আদিখ্যেতায় হৃৎপিণ্ডটাও নিবিড় ও নরম--
ভারসাম্যহীন অন্ধকারে ভাববিনিময় করলেও,
বিলাস বাগান ফুল ফুটছে আহ্নিক অর্বিট জুড়ে।
নদী আর গাছের ছায়া নিয়ে,প্রতিসৃত জল দেখি রোজ
সকালের ১৮ মাত্রায়___
নিজেদের কথার গদ্যে হরফগুলো সাদা হয়ে গেছে গত জুন মাসেই।
কৌতুহলের ঊর্ধ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে চৌহদ্দির পরিসর।
এসো কিছু খুচরো পয়সা নিই তা দিয়ে
চাল-আলুর ১টা ফর্দ বানানো যাবে
কোষপর্দার বাইরে...ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।