অর্থিতা মণ্ডল
নিঃশেষ
তুমি চলে গেলে
কারুর দু চোখ ভরে উঠবে জলে
কোনো এক তাৎক্ষণিক...
ঠিক কোনো এক মুহূর্তে তোমার নিঃশব্দ ঘরে
সাজানো আসবাব,
স্তূপীকৃত বই লেখার কাগজ,ল্যাপটপ
অদ্ভুত ভাবে বাসি হয়ে উঠবে।
এতদিন তুমি বাড়ি ফিরতে কিংবা ফিরতে না
ব্যালকনি উপচে নেমে আসত অন্ধকার
টানটান বিছানায় সারা রাত জুড়ে
জেগে ছিল গত জন্মের আঘ্রাণ,
শহরের অন্য কোনো প্রান্তেও
রাত নামত সেই সময়ে
আর একটা অপেক্ষা তোমার ফেরার
নিশ্চিন্তে কিংবা ফিরে না আসার দুশ্চিন্তায়
ঘুমিয়ে পড়ত রোজ,
তুমি চলে গেলে শোক এখন বেমানান,
দুটো চোখ তবু অসহায় আগুনে
শোকের পাথর জাগিয়ে রাখে
আর তুমি জানতেও পারো না
এও তো তোমারই জন্যে
অনিবার্য
কত জন্ম ধরে রাই নিদারুণ সুখ
তোমার খড়কুটো মান্দাসে ভাসে
যোগিনী ধুমাবতী নিশি
এলানো চুল ধরে নেমেছে গহন গভীর ।
অস্পৃশ্য অহংকারে মহাবিদ্যা ধরো
ভাঙা দরজা আগলে ফুল আদিগন্ত ভূমি
ঘরের জানালায় টোকা দেয় কেউ
কংক্রিট ভেঙে যায় শুধু আকাশ আকাশ
গৃহহীন অনির্দেশ সংকেত,
তোমার বিবাগি স্পর্শে চিতাকাঠ
কত কত জন্ম সাজে অভিমানী ধূসর নিদান
চণ্ডাল নগর
কফিক্ষেত জুড়ে কালো ধোঁয়া,পুড়ে যাচ্ছে বস্তি
যেখানে গভীর রাতে নৈতিকতার কথা হোত রোজ
আরোপিত সংসার অভিনয় পাঠ...
এ'সবের ভেতর কিছু বাইসন দ্রুত ছুটে এলো
আর আদিম রমণী ডিঙ্গা সাজিয়ে স্তব করছেন..
একদিন তুমি এসে দাঁড়াবে,
জেগে উঠবে সমস্ত ' রাগ '
বিষণ্ন গাছেদের গল্প হবে খুব
রমণীর কালো শরীরে তোমার মেঘমল্লার
এখানে গান্ধর্ব বিহার কুসুম কুসুম সব
ধ্যানি যোগী জেগে ওঠেন মহাকাল চণ্ডাল আলো
তুমিও চণ্ডাল হও চণ্ডালিনী তোলেন আরণ্যক নগর