শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সুব্রত নন্দী


সুব্রত নন্দী

স্মৃতির পাতায়

স্মৃতির পাতায় প্রগাঢ় অনুভূতির অবকাশ,
প্রোথিত চিরকালীন ক্ষতচিহ্নের মনাকাশ।
ব্যথিত মন, মনদোরে ভাঙনের সুনামী,
প্রশ্নচিহ্নে জর্জরিত, তুমি কেন বেনামী?
নিমজ্জিত স্বপ্ন, ভেসে ওঠার বৃথা প্রয়াস,
অশান্ত সাগরে ভেঙে পড়ছে অন্ধবিশ্বাস।
বিষাদিত মনোবাঞ্ছা, ভগ্ন হৃদয়ে কালিমা,
ভোরের আলোয় মিথ্যে বিবর্তনের লালিমা।
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব কাটিয়ে পথ চলা,
নিভৃতে আঁধার যাপন,অতিক্রান্ত সারাবেলা।







রাবণ বধ

ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত তুমি আজ!
অন্তরের আলো অধোগতির সাথে বিলুপ্তির পথে -
স্রোতের টানে ভাসিয়ে দিয়েছ মুক্তির উল্লাস!
ধ্বংসাত্মক খেলায় শেষ হাসি হাসা যায় না,
সমুদ্রের গভীরতা মেপে কী লাভ?
নিজেকেই হারিয়ে যেতে হবে অজান্তে।
দুর্বৃত্তরা এবার অন্তত ব্যবধান গড়বে না,
শিখে নেবে রাবণবধের মারণাস্ত্র।







অমাবস্যা

গোধূলির আলোয় পরিস্ফুট রোদ্দুরের নিস্তেজতা,
ইতিহাস অন্ধ গহ্বরের সম্মুখে হারিয়ে যাচ্ছে নীরবে -
নিভৃতে মনকথা ঘরের মধ্যে ঘরে অনুপ্রবেশ,
সবুজ পাতায় আঁকা হলুদ রঙের বিশ্বাস!
সঙ্গোপনের ক্যানভাসে সমুজ্জ্বল জীবনচিত্রের মিথ্যা উপলব্ধি,
তেজোদ্দীপ্ত চোখে অশ্রুধারার অলকানন্দা এখন,
গতানুগতিক পদ্ধতিতে অনুসারী জীবন।
হয়তো শুকিয়ে যাবে জলোচ্ছ্বাস,
থেমে যাবে যাবতীয় মনোবাঞ্ছার ডায়েরি;
পূর্ণাঙ্গ ভালোবাসায় ভগ্নাংশ ফিকে রঙের ইতিকথা।
আজ মনকথা শুধুই অমাবস্যার চাঁদে সিক্ত!
শনাক্ত করতে অপারগ আলো-আঁধারির বিভাজন।