গৌতম রায়
মন
মনের শরীর ভেঙে গেলে
কী আর
থাকে বলো?
থাকে রক্তমাংস হাড়গোড়
চামড়ার
বয়ে নিয়ে যাওয়া
একটি মালগাড়ি
যে যাই বলো পৃথিবীতে
মনের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নাই
তার চিপস্ বালি রড সিমেন্ট জলের
মিশ্রমানান ঋজুতায়
পৃথিবী হাসে কাঁদে
সুন্দর প্রস্ফুটিত হয়
মিতি ভেঙে দাও আর ভেঙে ফেল
এও এক বিশ্বাসঘাতকতা
এও এক মানবিক অপরাধ
তারপর লেপ কম্বল রাখে গুটিয়ে মহাশীতল
কে দেবে রোদরঙ ?
কে দেবে জ্যোৎস্না স্নান ?
সূর্যে যে গ্রহণ এখন
সনাতনী
যে মন্দিরে ব্রতিনী মাড়ুলি দেয়
জোড়হাত রাখে প্রণাম
সূর্য এসে রাখেন প্রথম পা
আমিও সেই পৃথিবীতে রাখি প্রণাম
সূর্য শুধু দেবতা নয়
আমারও হয়ে যান
আমার ভেতর সোলোনিয়াম কোশ
সঞ্চয় করে বিদ্যুৎ
বিজ্ঞান তুমি সুইচ দিলে
জ্বলে ওঠে পথ-আলো
এই দেব-আলোতেই আমাদের তমসা
দাঁড়ায় গিয়ে আলোয়
ক্ষেতের দোয়াবে ফুটে ওঠে কুদরুম হাসি
আমি শুধু তোমার ঠোটের ঘাটতিতে
দিই প্রলেপ
দেবী পানপাতায় আসেন
পান পাতায় যান
মাঝে শুধু ব্রতিনীর মাড়ুলিগুলি ,
পদ্মপাতায় টলটল করে জল
ভেসে থাকে শিকারের দিকে
ডাহুকির চোখ
যমুনা পাড়ের পান্ডুলিপি
জলের উপর দাঁড় করিয়ে রেখে দিই গুচ্ছ
সংবহন জিইয়ে রাখে ক্লোরোফিল
জিইয়ে রাখে পাপড়ির পান্ডুলিপি
সূর্য উঠলে পাপড়ি মেলে ডানা
এই ডানার গ্রাফিক্সে আঁকা ভালোবাসা
চলমান হয়
আজ না হোক
দৌহিত্র খুলে দেখে পূর্বপুরুষের ফোল্ডার
দেখে নৌকো বাইছে বৃন্দাবন
দেখে নৌকো বাইছে তাজমহল