কাকলি মান্না
চেনা মুদ্রা কিছু অপেক্ষা
এবং সেই সব অপেক্ষার দিনে
শিশিরের চুম্বন রেখা মুছে গেলে
আশা এক বৃষ্টি দিন
যাবতীয় মায়া চিলেকোঠা ঠোঁটের গান...
সিঁড়ি টপকে গেলেই বাগান ছাদ ।
এস আরো একবার সরল হই
কারণ খোঁজা সহজ হওয়া...
জলের মত তরলের মত হীন কাঠিন্য ।
ভুলে যাই সিঁড়ি ভাঙা হিসেব
আঁকি বুকি মোম গলা ছবি সময় ।
চেনা মুদ্রা খুলে জাগা ঘুমে.
নিজেকে চিনি প্রিয় মুখ অনুরাগে
ছাদ ঘর রাত্রি জপে শরীরী আলাপে।
মেধাবী জ্যোৎস্না
বিকেলের করিডোর জুড়ে মেঘেদের শীৎকার
গাছেদের গায়ে বৃষ্টির নামাবলি
নিঃশব্দ ভেঙে ফেলে পাতাদের ব্যারিকেড
রমন রত শালিক গ্রিলের সোহাগ মাখে
উড়ালপুলের শরীর জুড়ে নিয়নের জলসা
দ্রুত গতি যান ভেঙে ফেলে বৃষ্টির মৌনতা
মৃত শহরে জেগে ওঠে স্বপ্ন
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরী
নেমে আসে ঘাসের বিছানায়
ঘর বিমুখ বালক বালির জামা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায়
দেখা হয়ে যায় স্বপ্নালোকের নারীর সাথে
এভাবেই প্রতিটা বিকেল সন্ধ্যার
স্বপ্ন বুনতে বুনতে মেধাবী জ্যোৎস্না মাখে
স্পর্শাতীত
কাকলি মান্না
সেদিন হঠাৎ
মেঠো পথ প্রকৃতি ভবন
আমরা টোটোয় চলেছি সৃষ্টি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দিগন্ত ছোঁয়া শূন্যতা মাপে ভুবন ডাঙার মাঠ
পলাশ শিমুলে ফিসফাস
সাঁওতাল পাড়া এখনও শুচিতার পাঠ নেয়
কোপাই এর জলে
ভালোবাসার পসরা বিকোয় সোনাঝুরির হাট
অচলায়তন এর প্রাচীর কেঁপে ওঠে মাঝে মাঝে
যুবক রা মেতে ওঠে নিয়ম ভাঙ্গার খেলায়
এত রক্ত!! চমকায় কিশোরী গোমতীর তীরে
বিকেলে আলোচনা সভা বসে
দেখা হয়ে যায় পঞ্চক বিশু পাগলা গোবিন্দ মানিক
দা ঠাকুর..নাটক গানের মহড়া চলে
বয়ে যায় সময় সৃষ্টি ভিড় করে সভা গৃহ
দীর্ঘ হাঁটার পথ সমকালকে ছুঁয়ে দেয়.
যপেন মন্ত্র উপাসনার
রবীন্দ্রনাথ একা
অবিনশ্বর