বিতস্তা ঘোষাল
১
কবিতা লেখার শুরু তোমার হাত ধরে,
সেই যেবার তুমি বলেছিলে -বাহ,বেশ লিখেছ তো!
তারপর নদীতে প্লাবন এলো,
কত মাঠ,বাড়ি, ক্ষেত জলমগ্ন হল
অথচ আমি মেতে সৃষ্টিতে
তোমার অদৃশ্য সুতোর টান তখন
আমি একটা একটা করে অক্ষর সাজাই
আর ভাবি তুমি পড়বে তো!
বুঝিনি কবিতা আসলে প্রেমের মতই
কখনো তার ভালোবাসার ঘড়া উপুর করে
কখনো বা মুচকি হাসে
ভিতরে ভিতরে জন্ম দেয় একক নিঃসঙ্গতা
ভেঙে তছনছ করে যাবতীয় শব্দ
ক্রমশ নিজের মধ্যে জেগে উঠি
ঠিক যেমন ভাবে সমুদ্রের গভীর থেকে
উঠে এসেছিল অমৃত
আমি ছুঁতে চাই,
ছুঁতে চাই নিজেকে...
২
জানি তুমি এক কথা বারবার বলা পছন্দ
করো না
এও জানি তুমি ইচ্ছে না হলে কথা বলো
না
অথচ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই অহরহ
কি বলতে চাই সেটা অবশ্য জানি না
শুধু কিছু বলতে হবে বলে বলে যাই
মানেহীন কিছু শব্দ, আর কিছু মুহূর্ত
একটা রামধনু যেন দিগন্ত ছোঁয়
এখন জানি কোনো কথা না বলাটাও
আসলে বহু কথার জন্ম দেয়...
৩
নিঃস্তব্ধ রাতের মত নিস্তব্ধতা ঘিরে
ধরে
যে মন এতক্ষণ কথা বলছিল
হঠাৎ ভাষা ভুলে যায়
শব্দ গুলো চোখের সামনে লুকোচুরি
খেলে
ধরতে পারিনা কিছুতেই
অথচ আপ্রাণ চেষ্টা করি ছুঁতে
ক্রমশ ক্লান্তি নামে, চোখের পরে
মেঘ জমে
আর তখনি তুমি সদর দরজায় কড়া নাড়ো।