শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

বাঁধন নেই

স্বপ্নের কিছুটা ছিঁড়ে তোমায় দিয়েছিলাম।
তুমি বললে, কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না।
আসলে স্মৃতিগুলো কখনও
বড় দুর্বলতায় ঘেরা থাকে
বাস্তবতা সহজেই হারিয়ে যায়--
সেই সবুজ মাঠ পেরিয়ে
ছুটে আসতে আসতে যখন পিছু ফিরলাম
দেখলাম অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে।
বর্তমান ছুটে যাচ্ছে অতীতে--
অতীতের কাল গর্ভ থেকে যে শিশু উঠে এসেছিল,
মার মুখটাও আজ তার কাছে বড় অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
প্রেমিকার আদল নিয়ে কত প্রেম হারিয়ে যায় !
শক্তপোক্ত একটাও বাঁধন নেই --
চলে যেতে যেতে কাকে বলব,
আমায় জড়িয়ে ধরো--
আপন করে, আরো আপন করে! !






তবু সে পবিত্র নদী

পাঁক আসলে মনের গভীরে
প্রতিটা জন্মের আগে উত্তেজিত মুহূর্তে 
চাই প্রপ্ৰপাত।
তারপর সে বীজ ফুঁড়ে ওঠে
সবুজ লমলমে চেহারায় একটি শিশু।
সে জঠর ভেঙে যোনিপথ বেয়ে
বিস্ফোরিত হয় এবং মা, বলে ডেকে উঠে। 
তাই বলি, সঙ্গমের অন্তঃস্থলে
সহস্র কামনা-বাসনা রয়ে গেছে--
তবু তা পাক নয়, সে তো পঙ্কজ--
বহমান সে পবিত্র নদী
গঙ্গা নর্মদা সেখানেই বয়ে চলে....







চাঁদের চাদর পেতে

না হলে তুমি বিরহ হয়ে থাকো, চাঁদের চাদর পেতে

কিছুটা আগুন উষ্ণতায় তোমায় খুঁজে ফিরি,

শয্যায় রাত জেগে, বুঝি শুধু তোমায় খুঁজি।

তোমার জেদের ভেতর থেকে

এক খ্যাপাটে পাগল বেরিয়ে আসছে।

ঘরের ভালোবাসা যেখানে ফুঁসে ওঠে,

সে তোমার কাল্পনিক শরীর, আসলে প্রেম বড় ক্ষণস্থায়ী হয়। 

মনে মনে তোমার বিরহ জমে জমে আবার প্রেমের জন্ম নিচ্ছে দেখো !

মাটির প্রলেপ নাভিমূলে নেমে আসছে মূল--তারপর ধীরে ধীরে সে

বৃক্ষ দৃঢ়তায় ধরে নেয় মাটির বুক, সৃজনতা তখন তাকে আঁকড়ে ধরবে।

বৃক্ষ সন্তানের মোহে মাতৃ দৃঢ়তার কোথাও স্খলন নেই।